কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ডজন খানেক মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
কাজাখস্তানের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ৬৭ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ডজন খানেক মানুষ মারা গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে দেশটির জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় মিলেছে। উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
উড়োজাহাজটিতে আজারবাইজান, রাশিয়া, কাজাখস্তান এবং কিরগিজস্তানের যাত্রী ছিলো। তবে আজারবাইজানীয় নাগরিক বেশি ছিলো।
রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, উড়োজাহাজটি আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ছিলো। এটি বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার বাকু গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। তবে, গ্রোজনিতে কুয়াশার কারণে বিমানটিকে দিক পরিবর্তন করতে হয়।
কাজাখস্তানের কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানায় রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্স বলেছে, এমব্রেয়ার ১৯০ উড়োজাহাজের জে২-৮২৪৩ ফ্লাইটটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকতাউ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।
এমব্রেয়ার বিবিসিকে জানায়, "উদ্ধার কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে প্রস্তুত তারা।"
তবে বিবিসি এখন পর্যন্ত আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের মন্তব্য পায়নি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় বিবিসি।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই রাশিয়া সফররত আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ দেশে ফিরেছেন। বুধবার রাশিয়ায় শীর্ষ এক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।