পরিবারের পছন্দে বিয়েতে অস্বীকৃতি, বাবার গুলিতে মেয়ে নিহত

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2025-01-15 18:19:05

পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চাওয়ায় পুলিশের সামনেই মেয়েকে গুলি করে খুন করেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শহরের গোলা কা মন্দির এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই মেয়ের নাম তনু গুর্জার। পরিবারের পছন্দের ছেলের সঙ্গে চারদিন পর তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সে এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রেমিক ভিকিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এই ক্ষোভে তার বাবা মহেশ গুর্জার পুলিশ অফিসারদের সামনেই তাকে গুলি করে হত্যা করে।

মঙ্গলবার সকালে তনু গুর্জার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলো। সেটি দেখেই ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে একটি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান মহেশ গুর্জার।

৫২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তনু উল্লেখ করেন, "নিজের পছন্দের বিরুদ্ধে পরিবার আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু আমি ভিকি নামে একটি ছেলেকে পছন্দ করি এবং তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু পরিবার প্রথমে এই সম্পর্ক মানলেও পরে ভিকির সঙ্গে তাকে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। তারা আমাকে প্রতিদিন মারধর করে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার কিছু হলে আমার পরিবার দায়ী থাকবে।"

এনডিটিভি জানায়, ভিকি উত্তর প্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা এবং ছয় বছর ধরে তনুর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই সুপারিনটেনডেন্ট ধর্মবীর সিংয়ের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা তনুর বাড়িতে ছুটে যান। বিষয়টি সমাধানের জন্য তাদের সম্প্রদায়ের পঞ্চায়েতও সেখানে উপস্থিত ছিলো। কিন্তু তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হঠাৎ তনুর বুকে গুলি চালায় মহেশ গুর্জার। একই সঙ্গে তার চাচাতো ভাই রাহুল গুলি চালায় তনুর কপাল ও ঘাড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এরপর তারা পুলিশ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দিকে গুলি তাক করেন। পরে পুলিশ তাদেরকে থামিয়ে মহেশকে গ্রেফতার করে কিন্তু রাহুল পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, মহেশ গুর্জারকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাহুলকে খুঁজে বের করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ তনুর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও পর্যালোচনা করছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর