ভারতে ভর্তুকি বাতিলের ফলে জাহাজে হজ যাত্রা

, আন্তর্জাতিক

সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩ | 2023-08-25 15:11:11

বিতর্ক-আপত্তি ও সবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে হজ ভর্তুকি তুলে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত সরকার, তারই অংশ হিসেবে জাহাজে করে হজে যাওয়ার সুযোগ নতুন করে চালু করা হচ্ছে। ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি ঘোষণা করেছেন, জাহাজে করে হাজিদের পাঠানো নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে বোঝাপড়া হয়ে গেছে। এখন এই ব্যবস্থার খুঁটিনাটি নিয়ে দু’পক্ষ আলাপ আলোচনা শুরু করবে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে সরকারি উদ্যোগে মুম্বাই থেকে হাজিদের জন্য জাহাজ সার্ভিস চালু হয়। তবে মুম্বাই-জেদ্দা সেই সার্ভিস ১৯৯৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ভারত থেকে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মুসলিম হজ করতে যান। তাদের সিংহভাগই বিমান টিকেটের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি পান। এই ভর্তুকি পায় মূলত সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। ৭০এর দশকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের সময় থেকে চালু হওয়া হজ ভর্তুকি নিয়ে ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপত্তি-বিতর্ক বাড়ছে। পাশাপাশি, কয়েক বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে ২০২২ সালের মধ্যে হজ ভর্তুকি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, হজে ভর্তুকি ইসলামের অনুশাসনের বিরোধী এবং এই ভর্তুকি বরঞ্চ মুসলিম নারীদের শিক্ষায় ব্যবহার করা অনেক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুসলিম নেতাই সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশকে স্বাগত জানান। ওই নির্দেশের পর ভর্তুকি কমছে। ২০১৩ সালে যেখানে ৬৮০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল, গত বছর তা কমে দাঁড়ায় ৪০৫ কোটি। ভারতে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২২ এর পর ভর্তুকি ছাড়াও যাতে কম খরচে মুসলিমরা হজে যেতে পারেন, তার জন্য নতুন করে জাহাজ সার্ভিস চালুর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাকভি বলেন, জাহাজ এখন অনেক আধুনিক, আরামাদয়ক ও দ্রুতগতিসম্পন্ন। আগে যেখানে মুম্বাই থেকে জেদ্দা যেতে ১৫ দিন লেগে যেত, এখন তিন-চার দিনেই যাওয়া সম্ভব। এদিকে, হজ ভর্তুকি তুলে দেওয়ার জন্য ভারত সরকার উদ্যোগ নিলেও, হিন্দুদের বেশ কিছু ধর্মীয় আচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভর্তুকি নিয়েও বিতর্ক দানা বাঁধছে বলে বিবিসির নয়া দিল্লি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন। এক হিসাবে জানা গেছে, শুধু হিন্দুদের কুম্ভ মেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বছরে এক হাজার কোটি রুপিরও বেশি খরচ করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর