নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে পুরো বিশ্বের মুসলিম কমিউনিটি।
অস্ট্রেলিয়ার আহমাদিয়া মুসলিম কমিউনিটির ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট আই.এইচ. কাউসার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সবার জন্যেই আজকের দিনটি খুব কষ্টের। এই সময়ে আমাদের সবাইকেই খুব দৃঢ়ভাবে ঘৃণা, বিভক্তি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক হয়ে থাকতে হবে’।
আমেরিকান গ্রুপ মুসলিম অ্যাডভোকেটস জানান, আমরা সবাই খুব ভেঙে পড়েছি। আজকের এই ট্র্যাজেডি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য নয়, বরং সকল বিশ্বাসী ও ভালো মানুষদের জন্যেও। ঘটনাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকেই এই কঠিন সময়ে ‘সজাগ ও সতর্ক’ থাকার পরামর্শও দেন তারা।
আমেরিকান গ্রুপ মুসলিম অ্যাডভোকেটস এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই জঘন্য হামলা ব্যতিক্রম কিংবা অবাক করা কোন ঘটনা নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম কমিউনিটি বিগত বছরগুলোতে এমন বহু হামলার সম্মুখীন হয়েছে। তবে আমরা আজকে নিউজিল্যান্ডের মতো এতো মর্মান্তিক ঘটনা সচারাচর দেখিনি’।
‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যতগুলো হামলার ঘটনা দেখেছি, এটা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ইসলামোফোবিক (ইসলাম ভীতিপূর্ণ) সন্ত্রাসী হামলা’ এমনটাই বলেছেন মার্কিন যুক্তরাজ্যের মুসলিম কাউন্সিলের জেনারেল সেক্রেটারি হারুন খান।
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘আজ শুক্রবারের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুত হবার সময় আমাদের মাঝে ভীতি ও দুশ্চিন্তা এসে ভর করছিল, ইসলামোফোবিকদের হাত থেকে আমাদের মসজিদ ও কমিউনিটি নিরাপদ আছে কিনা’।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে (নিউজিল্যান্ড সময় অনুযায়ী) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়রা রক্ষা পেলেও এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্ততপক্ষে ৪৯ জন। নিহতদের মাঝে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকও আছেন।
ঘটনাস্থল থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে অনেকেই দৌড়ে পালিয়েছেন এবং আহত হয়েছে।