সবরমতি নদীর তীর যেন অপার সৌন্দর্য

ভারত, আন্তর্জাতিক

খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ড, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 22:04:35

সবরমতি নদীর তীর থেকে: বাংলাদেশে হাজারো নদী। এ নদী নিয়ে এখন বাংলাদেশিদের গর্ব করার চেয়ে ক্ষোভ ফেটে পরে প্রতিনিয়ত। এ ক্ষোভ সাধারণ জনগণের নদীকে নিয়ে নয়, নদীগুলোকে ধ্বংস হতে দেখে। এককালে গুজরাটের ভেতর দিয়ে প্রভাবিত সবরমতি নদীর এ অবস্থা ছিল।

আহমেদাবাদ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে সবরমতির দুপ্রান্ত ও দখলদারের দখলে লাঞ্ছিত হয়েছে। দুই পাড়ে নোংরা, ভাগাড়ে পরিণত করেছিল নদীর পানিকে। হাজারো ছিন্নমূল মানুষের অস্বাস্থ্যকর আবাসন গড়ে ওঠে নদীর পাড় জুড়ে।

এখন সবরমতি তীর যেন অপার সৌন্দর্য। আগেই এর পাড়ে গড়ে উঠেছে গান্ধী আশ্রম। এখন হয়েছে আরো সুন্দর।

দিনের বেলা আহমেদাবাদ শহরে প্রচণ্ড গরম। আদ্রতাহীন তাপমাত্রা ৪০ ছাড়িয়ে যায় দুপুর হওয়ার অনেক আগেই। দিনে নদীর পাড় তপ্ত। জনমানুষহীন। তবে যৌবনের তাড়নায় কিছু তরুণ তরুণীকে দেখা যায়।

সন্ধ্যা হলেই তাপ কমতে শুরু করে। তখনই মিলন মেলা হয় আহমেদাবাদবাসীর। মধ্য রাতে তাপ নেমে যায় ২৫ থেকে ৩০ এর কোঠায়।

দুই দিকে কংক্রিট ঢালাই করা প্রান্তর ধাপে ধাপে পরিকল্পিত তীরটি গড়ে তোলা হয়েছে যা আহমেদাবাদবাসীর জন্য গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নদীর তীরে ঘুরতে আসা ইকবাল কোরিশি জানালেন, ১৯৬০ সালে প্রস্তাব করা হলেও এর নির্মাণ ২০০৫ সালে শুরু। মোদি এটা আহমেদাবাদে গড়ে তুলেছেন। এজন্য এখানকার হাজারো বস্তিবাসীদের সরিয়ে নতুন আবাসনে পুনর্বাসন করেছেন। ২০১২ সাল থেকে, রিভারফ্রন্টটি ধীরে ধীরে জনসাধারণের জন্য খোলা হয়।

জানা গেছে, এটি একটি বৃহৎ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সুবিধা রেখে নদীর পাড় নির্মিত হয়েছে। বিভিন্ন সুবিধা সক্রিয়ভাবে চালু। প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য পরিবেশগত উন্নতি, সামাজিক অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন।

এই নদীটির সঙ্গে আহমেদাবাদ শহরটির সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। নদীর একেক তীর দুটি স্তরে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেখানে নিচের স্তরটি কেবলমাত্র পথচারীদের এবং সাইকেল চালানোর কাজ করে। এখানে ভাড়ায় সাইকেল পাওয়া যায়।

উপরের স্তরটি কয়েকটি এলাকার জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, অবসর কার্যক্রম, বড় পাবলিক পার্কিং এবং প্লাজার কাজ করে।

মজার বিষয় হল নদীতে নৌকা নেই। পানির রং সবুজ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর