সেনাপ্রধানের পর এবার চীনে যাচ্ছেন সু চি

, আন্তর্জাতিক

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-28 22:27:13

শিগগিরই প্রতিবেশী চীন সফরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যে সু চি এই সফরে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াংও চীন সফর করেন।রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট নিয়ে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মধ্যে মিন অং হ্লাইয়াং চীন সফরে যান। কয়েক মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়লেও চীন বরাবরই মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বন করে আসছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল লাইট অব মিয়ানমার গতকাল সোমবার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অং সান সু চি শিগগিরই চীন সফরে যাবেন। বেইজিংয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বিশ্বনেতাদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সেখানে অংশ নিতে চীন সফর করবেন সু চি। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা। চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সফরের বিষয়ে সু চির কার্যালয়ের মুখপাত্র জ হতেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহু বছর ধরে বেশ দৃঢ়। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস ও তেল খাতে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ছে। রোহিঙ্গা নির্যাতন সত্ত্বেও মিয়ানমারকে সমর্থন দিচ্ছে বেইজিং। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবেও ভেটো দিয়েছে চীন। দুই দেশের সামরিক কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক পুরোনো। সামরিক জান্তা বহু বছর ধরে মিয়ানমার শাসন করেছে। তখন পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ছিল মিয়ানমারের ওপর। এই সুযোগে সামরিক জান্তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে চীন। গত সপ্তাহে বেইজিং সফরের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের জয়েন্ট স্টাফ ডিপার্টমেন্টের প্রধান জেনারেল লি জুচেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মিন অং হ্লাইয়াং। বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন। দুই দেশের সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে তার দেশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর