ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলম্বিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। টানা চার মাস কলম্বিয়া সীমান্ত বন্ধ রাখার পর শনিবার (৮ জুন) ফের সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর ভেনেজুয়েলার হাজার হাজার মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে কলম্বিয়ায় যান। দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক সঙ্কট চলতে থাকায় দেশটিতে মৌলিক পণ্যের সরবরাহ নেই বললেই চলে।
জাতিসংঘ জানায়, ২০১৫ সাল থেকে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশটি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। খাদ্য ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাবে ভেনেজুয়েলার হাজার হাজার মানুষ ব্রাজিল, কলম্বিয়াতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, শনিবার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ভেনেজুয়েলা থেকে কলম্বিয়া পৌঁছেছেন।
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো চলতি বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পরই ব্রাজিল, কলম্বিয়া, গায়ানা, নেদারল্যান্ডসের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত মাসে তিনি ব্রাজিল ও আরবীয় দ্বীপ দেশগুলোর সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য অনুমতি দিলে, আরবীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই ভিত্তিতে গতকাল শনিবার কলম্বিয়ার সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন মাদুরো।
মাদুরো এক টুইটবার্তায় কলম্বিয়া সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তিনি ভেনেজুয়েলা সংকটের জন্য ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক যুদ্ধকে দায়ী করে বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ এবং আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার্থে সব ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
সূত্র: বিবিসি