বিশ্ব শান্তি সূচকে (জিপিআই) ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০১তম। গত বছর এই অবস্থান ৯৩তম থাকলেও এবার আট ধাপ পিছিয়েছে দেশ। গত বছরও আট ধাপ পিছিয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে এই সূচকে প্রতিবেশী ভারত (১৪১তম) ও পাকিস্তানের (১৫৩তম) চেয়ে ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। ভুটান, শ্রীলংকা ও নেপাল রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে।
এবার ২ দশমিক ১২৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১০১তম। ২০১৮ সালে স্কোর ছিল ২ দশমিক ০৮৪। এর আগে ২০১৭ সালে ২ দশমিক ০৩৫ স্কোর নিয়ে দেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম।
চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ এ অঞ্চল সম্পর্কে ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এ অঞ্চলে ৩৯ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই ঝুঁকির আওতায় আছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে সহিংসতার কারণে ব্যয় হয়েছে ২২ হাজার ২৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তিন শতাংশ।
এ বছর সবচেয়ে শান্তির দেশ আইসল্যান্ড, যার স্কোর ১ দশমিক ০৭২। এছাড়া ১ দশমিক ২২১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। এরপর রয়েছে অস্ট্রিয়া (তৃতীয়), পর্তুগাল (চতুর্থ) ও ডেনমার্ক (পঞ্চম)। দেশগুলোর স্কোর যথাক্রমে ১ দশমিক ২৭৪, ১ দশমিক ২৯১ ও ১ দশমিক ৩১৬।
অন্যদিকে সবচেয়ে অশান্তির দেশ এবার আফগানিস্তান। তার আগে রয়েছে সিরিয়া ১৬২তম, দক্ষিণ সুদান ১৬১তম, ইয়েমেন ১৬০তম ও ইরাক ১৫৯তম।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) এই সূচক প্রকাশ করে। গত মঙ্গলবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩তম বার্ষিক শান্তি সূচক প্রকাশ করে।
এই সূচকে বিবেচ্য বিষয় ধরা হয়- সহিংসতা, সংঘর্ষ ও সামরিকীকরণ জারি। বিশ্বের ৯৯.৭ শতাংশ মানুষ এই জরিপের আওতায় পড়ে।