মুসলমান পুরুষেরা কামুক, সুতরাং...

, আন্তর্জাতিক

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-09-01 23:37:53

মুসলমান পুরুষেরা কামুক। প্রবল যৌন লালসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা। তাই তাদের থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে হিজাব পরে নিজেদের শরীর ঢেকে রাখেন মুসলিম নারীরা। এমন অদ্ভুত দাবি শেখ জাইনাদিন জনসন নামের অস্ট্রেলিয়ার এক মৌলভির। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, হলিউডের হার্ভে ওয়েনস্টাইন যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় মুখ খুলে নিজেই বিতর্ক উসকে দিলেন কুইন্সল্যান্ডের ওই মৌলভি। যৌনতা নিয়ে শিষ্যদের আজব পাঠ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নারীদের উচিত হিজাব পরে নিজের শরীর ঢেকে রাখা। কারণ মুসলমান পুরুষেরা যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তাই খোলামেলা পোশাক পরিহিত নারীরা পুরুষের লালসা উসকে দিতে পারে। নারীদের নৈতিকতার পাঠ দিয়ে শরিয়ত আইনের বিশেষজ্ঞ ওই মৌলভি বলেন, প্রকাশ্যে চুড়ি পরা উচিত নয়। তবে বাড়িতে বা হিজাবের নিচে চুড়ি পরা যেতে পারে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন। এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে চাকরি খোয়াতে হয়েছে লোগান মসজিদের ওই ধর্মগুরুকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে মৌলভি জনসন দাবি করেন, নিজের মত প্রকাশ করার ফলেই তাকে চাকরি খোয়াতে হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশেই তার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তবে গণতন্ত্র ও অধিকারের দোহাই দিলেও, সমাজে নারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলেই যে তিনি মনে করেন তা স্পষ্ট। ওই ধর্মগুরুর এহেন বয়ানে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এধরনের বিতর্কিত মন্তব্য নতুন নয়। গত জুন মাসেই নারীর যৌন চাহিদা ও উত্তেজনা আটকাতে এক বিতর্কিত বিধান দেন আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের সবথেকে বড় মসজিদের এক ইমাম। তার বক্তব্য, নারীর যৌন উত্তেজনা কমাতে যোনিচ্ছেদই সঠিক উপায়। এই বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে বয়ে গিয়েছিল নিন্দার ঝড়। প্রতিবাদের স্বর শোনা গিয়েছিল খোদ ওই মসজিদের মধ্যে থেকেই। সম্প্রতি, ভারতেই এক মুসলিম যোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়। তা না মানায় হামলা চালানো হয় তার বাড়িতে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর