পদত্যাগ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সীমান্ত কর্মকর্তা

আমেরিকা, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 12:30:14

অভিবাসন সঙ্কটের কারণে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সীমান্ত কর্মকর্তা জন স্যান্ডার্স।

দেশটির কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা (সিবিপি) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে সিবিপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জন স্যান্ডারস ৫ জুলাই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই সীমান্ত কর্মকর্তা সিবিপিকে ইমেইল করে ৫ জুলাই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

ইমেইলে তিনি লেখেন, আমি সফল কি না তা বিচারের ভার আপনাদের ওপর। কিন্তু সিবিপির অসাধারণ কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া সাহায্য ও সমর্থন আমার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ অর্জন।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মিস্টার স্যান্ডারের পরিবর্তে মার্ক মর্গানকে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে, স্থানান্তরের একদিন পর একশ’রও বেশি অভিবাসী শিশুকে টেক্সাস সীমান্ত স্টেশনে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সীমান্তের কর্মকর্তারা।

এখানে অন্তত ২৫০ শিশুকে ধরে রাখা হয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

 

সম্প্রতি সীমান্তের সেন্টার ঘুরে এসে এক আইনজীবী বলেছেন, জনাকীর্ণ সেন্টারে থাকা শিশুরা গুরুতরভাবে অবহেলিত। এরপর সীমান্তের সেন্টার থেকে প্রায় ২৫০ শিশুকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

২০০৬ সালের পর থেকে এ বছরের মে মাসে অভিবাসীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সম্প্রতি এল পাসো নামে এক আইনজীবী টেক্সাসের ক্লিন্টে অবস্থিত ওই সেন্টার (যেখানে অভিবাসী শিশুদের রাখা হয়েছে) ঘুরে এসে বিবিসিকে বলেন, জনাকীর্ণ যে ঘরে শিশুদের আটকে রাখা হয়ে তার মাঝখানে রয়েছে খোলা টয়লেট। তার পাশেই শিশুরা খায় এবং ঘুমায়।

কেউ এসব শিশুর খেয়াল রাখে না। অনেক শিশু নিয়মিত গোসলও করে না বলে মন্তব্য করেছেন ওরেগনের উইলমেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়ারেন বিনফোর্ড।

তিনি বলেন, সেখানে জীবাণু সংক্রমণ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব রয়েছে। কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিই তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নেই। শিশুদের বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তালাবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। অনেকে খুবই অসুস্থ। এখানকার শিশুরা মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে ঘুমায়।

ইলোরা মুখার্জি নামে আরেক আইনজীবী সেন্টারটি ঘুরে এসে বলেছেন, শিশুগুলো সীমান্ত অতিক্রম করার সময় যে পোশাকে ছিল, এখনও একই ময়লা পোশাকে দিন কাটাচ্ছে। যা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং অমানবিক। আমেরিকায় এমন হওয়া উচিত না।

এরপর ঘিঞ্জি কমাতে সেখান থেকে একশ শিশুকে অন্যত্র পাঠানো হলেও পরদিনই তাদের আবার সেখানে ফেরত পাঠানো হয়। শিশুগুলো সেখানে সপ্তাহখানেক বন্দী ছিল।

তবে মার্কিন কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও আমাদের হেফাজতে থাকা জনগণ, বিশেষ করে শিশুদের সর্বোত্তম সুবিধা দিয়ে থাকি। আমাদের শীর্ষ কর্মকর্তারা বার বার উল্লেখ করেছেন যে আমাদের স্বল্পমেয়াদী ধারণ ক্ষমতার মধ্যে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে রাখা সম্ভব না। তাই এ সঙ্কট কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে তহবিল প্রয়োজন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর