মিয়ানমারের সামরিক ব্যবসায়ীরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে

, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-24 18:31:04

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা ব্যবসার নামে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

জেনেভা থেকে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রকাশিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন মিয়ানমারের এ ধররনে ব্যবসায়ী  সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানায়।

জাতিসংঘের একটি  অনুসন্ধানকারী মিশন সামরিক মালিকানাধীন  ব্যবসায়ীদের উপর  অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের  সামরিক বাহিনী অর্থ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাচিন, শান ও রাখাইন রাজ্যে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে মানবাধিকার লঙ্ঘণ করেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে মিয়ানমারে যুদ্ধবিমান, সাঁজোয়া যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার সরবরাহকারী চীন, রাশিয়া ও ইসরাইলসহ সাতটি দেশের অন্তত ১৪ বিদেশি সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞার জারির আহ্বানও জানিয়েছে।

জাতিসংঘের  অনুসন্ধানকারী মিশন চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমান সোমবার ১১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমারের এ রাজ্যগুলোতে  সামরিক ব্যবসা ও বিদেশি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে এ অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘন কমবে।

প্রতিবেদনে সামরিক নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড (এমইএইচএল) এবং জেড ও রুবির খনির ক্ষেত্রে মিয়ানমার অর্থনৈতিক কর্পোরেশন (এমইসি) কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

জেড ও রুবির মত মূল্যবান এই রত্নের অবৈধ বাণিজ্য রোধ করতে পারলেই এই অঞ্চলের শান্তি ফিরে আসবে বলে জানানো হয়।

কারণ সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন এমইএইচএল ও এমইসি-এর আওতায়  বিভিন্ন নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, বিমা, পর্যটন এবং ব্যাংকিংসহ  কমপক্ষে ১২০ টি কোম্পানি সরাসরি যুক্ত রয়েছে।

উভয় সংস্থাই কাচিন এবং শান রাজ্যে জেড এবং রুবি খনির লাইসেন্সেও রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যে সামরিক ব্যবসার সাথে কমপক্ষে ১৫ টি বিদেশি সংস্থার সরাসরি যৌথ উদ্যোগ রয়েছে।  ৪৪ টির সংস্থার সাথে নানান বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, যার সংখ্যাগরিষ্ঠই চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং সিঙ্গাপুরের সংস্থা। প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে সেখানে যেন তারা অনুদান দিতে চিন্তাভাবনা করে। কারণ ২০১৭ সালে কমপক্ষে ৪৫টি কোম্পানি এই সামরিক ব্যবসায়ীদের ১০.২ মিলিয়ন অনুদান দিয়েছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর