বেসামরিকদের সাজা দিতে মিয়ানমার সেনাদের যৌন সহিংসতা: জাতিসংঘ

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-30 14:00:23

মিয়ানমারের কাচিন ও শান রাজ্যে দেশটির সেনা সদস্যরা সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর ওপর যৌন সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে বলে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, 'নিরাপত্তা বাহিনীর যৌন সহিংসতা মূলত- বেসামরিকদের সাজা দিতে এবং তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে একটি ইচ্ছাকৃত, পূর্ব পরিকল্পিত কৌশল।'

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে মিয়ানমারে এসব সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন ও শান রাজ্য এবং পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার শত শত মানুষের সাক্ষাতকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, 'মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা নিয়মিতই কাঠামোবদ্ধভাবে ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং নারী, পুরুষ, অগ্রগামীদের বিরুদ্ধে যৌন ও অন্যান্য সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, 'নারী ও কিশোরীদের হত্যা ও ধর্ষণ, গর্ভবতী নারীদের ধর্ষণ, শিশুদের ওপর হামলা, যৌনাঙ্গে আঘাত, স্পর্শকাতর স্থানে হামলা ও সেটি ছড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও নারীদের এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে যেন তারা স্বামীদের সঙ্গে সহবাস করতে না পারে এবং সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে পড়ে।'

মিশনের সদস্য রাধিকা কুমারাসামি বলেন, 'রোহিঙ্গাদের গণহত্যার মাধ্যমে তারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল এবং তাদের পালাতে বাধ্য করেছে।’

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুমারাসামী বলেন, 'এখনো তাদের ফিরে আসার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়নি। তারা যে কোথায় ফিরে যাবে তাও নিশ্চিত নয়। গ্রামগুলোর স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা যায় সেখানে অল্প কিছু বাড়ি রয়েছে। তারা যে নিজেদের গ্রামে ফিরতে পারবে না তা নিশ্চিত।'

মিশনের বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সিদোতি বলেন, 'প্রথমবারের মতো কোনো জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আমরা স্পষ্টভাবে রূপান্তরিত (তৃতীয় লিঙ্গ) মানুষদের সহিংসতার শিকারের বিষয়টি তুলে ধরেছি। আমরা রুপান্তরিত নারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন যে, তারা দুইবার সহিংসতার শিকার হয়েছেন কারণ তারা একইসঙ্গে রোহিঙ্গা এবং তৃতীয় লিঙ্গের।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর