জরুরি অবস্থার সময় তিহার জেলে বন্দী ছিলেন জেটলি

ভারত, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-29 00:11:42

সুষমা স্বরাজের মতো স্বনামধন্য রাজনৈতিক নেত্রীর মৃত্যুর কয়েক দিনের মাথায় আরেকজন বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতাকে হারাল ভারত।

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে এআইআইএমএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা অরুণ জেটলি। ১৮ দিনের ব্যবধানে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র দুই কান্ডারির মৃত্যুতে দলটির অপরিমেয় ক্ষতি হয়ে গেল।

১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন জেটলি। সে সময় তিনি যুবমোর্চার আহ্বায়ক ছিলেন। প্রথমে তাঁকে আটক করে আম্বালা জেলে রাখা হয়েছিল পরে দিল্লির তিহার জেলে আটকে রাখা হয়।

রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি একজন স্বনামধন্য আইনজীবীও অরুণ জেটলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। ভারত সরকারের অর্থ এবং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুন: অরুণ জেটলি মারা গেছেন

মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন অরুণ জেটলি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে না দাঁড়ালেও গুঞ্জন ছিল, ফের মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ভোটের ফলাফল বেরুনোর আগেই মোদির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আপাতত কোনো ধরনের দায়িত্ব নিতে অনীহা জানিয়েছিলেন অরুণ জেটলি। এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন নিজের শারীরিক অসুস্থতার।

৬৬ বছর বয়সী অরুণ জেটলি গত দুই বছর ধরেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল তার। এ অবস্থায় লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও প্রচারণার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন প্র্যাকটিস করতেন। তিনি দিল্লি হাইকোর্টে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। বাজপেয়ী সরকারেও ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন জেটলি। মোদি সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ইউপিএ আমলে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অরুণ জেটলি রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর