যারা ছুটি বা অসবর সময় কাটানোর জন্য দূরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তারা বেশিরভাগই একমত হবেন; ট্রেন বা প্লেনে ভ্রমণের সময়টুকু সবচেয়ে বিরক্তিকর।
বিশেষ করে বিমানবন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য চেকপোস্টে থাকে লম্বা কিউ, একঘেঁয়ে অপেক্ষা। এগুলো যাত্রীদের জন্য যেমন ক্লান্তিকর, তেমনি বিরক্তিকর।
তবে যাত্রাপথে ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে বিশ্বের কয়েকটি দেশ তাদের বিমানবন্দর নির্মাণ করেছেন পর্যটকবান্ধব হিসেবে। এই এয়ারপোর্টগুলো ভ্রমণ আনন্দদায়ক করে পথের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতাও দূর করে।
বিজনেস ইনসাইডার এমন পাঁচটি বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে একঘেঁয়েমি দূর করে ভ্রমণকে করে তুলে আনন্দময়।
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দশ বার বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। সম্প্রতি এই বিমানবন্দরে জুয়েল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। যেখানে সুবজঘেরা আলাদা চারটি উদ্যান রয়েছে। বিনোদনের জন্য ভরপুর ভিডিও গেম খেলার ব্যবস্থা, একটি মনোরম ঝর্ণা, সুইমিং পুল ও জাকুজি রয়েছে। বিজনেস ইনসাইডারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে চাঙ্গি বিমানবন্দর।
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কানাডার ভ্যানকুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটির সংগ্রহে রয়েছে দেশটির উত্তর-পশ্চিম উপকূলের আঞ্চলিক চিত্রশিল্পের সমাহার এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজস্ব কিউরেটরও রয়েছে। সামুদ্রিক মাছের একটি দর্শনীয় অ্যাকুরিয়াম প্রদর্শনের সুযোগ পান এই বিমানবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীরা।
বিজনেস ইনসারইডারের বিমানবন্দরের সেরা তালিকায় তিনে রয়েছে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের টিডাব্লিউ হোটেল যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি আর্কষণ করে। ষাটের দশকের আদলে গড়া এই হোটেলে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জিমনেশিয়াম। বিশ্বের খ্যাতিমান শেফ দিয়ে টিডাব্লিউ হোটেলের খাবার তৈরি করা হয়।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য জঙ্গলের আবহ। বিমানবন্দরটির একটি অংশ জঙ্গলের মতো করে গড়া। এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীরা উপভোগ করেন প্রাকৃতিক জঙ্গলের পরিবেশ। খুব ছোট হলেও এখানে যাত্রীরা নির্মল বাতাসে বুক ভরে নি:শ্বাস নিতে পারেন।
তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ও'হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি পরিচিত মাটির নিচের আর্ট শিল্পের জন্য, যা পরিচিত- ‘স্কাই ইজ দ্যা লিমিট’ নামে। এটি নির্মাণ করেছেন চিত্রশিল্পী মাইকেল হেডেন। চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে ৫০০ নিয়ন বাতি এবং মিউজিক ভিডিও’র মাধ্যমে চিত্রকর্মকে তুলে ধরা হয়েছে।