ব্রেক্সিট ইস্যু: যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট মুলতবি ঘোষণা

ইউরোপ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-30 21:26:40

যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আসছে সেপ্টেম্বর মাসে পার্লামেন্ট মুলতবি রাখার জন্য আবেদন করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে। এরই প্রেক্ষিতে রানি আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের ১৪ তারিখ পর্যন্ত পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি রাখার অনুমোদন দেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্ট মুলতবি থাকার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ১৪ অক্টোবর পার্লামেন্ট শুরুর দিন রানি বক্তব্য রাখবেন বলে জানান। যেখানে রানি ব্রেক্সিট পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাবেন বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণকে স্বৈরতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে রানিকে এমন কাজের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন। 

বিরোধী দলীয় নেতারা বলছেন, বরিস জনসন তার নো-ডিল ব্রেক্সিট চুক্তিকে বাস্তবায়নের লক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিয়ম বহির্ভূত এমন সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর নো-ডিল চুক্তিতে অন্য নেতারা যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারেন তাই এমন পরিকল্পনা করেছেন তিনি। 

যদিও রানির বক্তব্যের আগে পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার নিয়ম আছে তবে এতদিনের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা নিয়মের বাইরে বলে মন্তব্য করেন নেতারা। জনসনের নো-ডিল চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। 

এ নিয়ে স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা এক বিবৃতিতে জানান, প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের জন্য মৃত্যুর শামিল। এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বরিস জনসন বলেন, পার্লামেন্ট মুলতবির সঙ্গে ব্রেক্সিটের কোনো সম্পর্ক নেই।   

এদিকে, অক্টোবরের ৩১ তারিখ ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ দিন। এজন্য পার্লামেন্টের মুলতবি ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এর মাধ্যমে সরকার ব্রেক্সিটের নো-ডিল চুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে বরিস জনসন ব্রেক্সিটকে বাস্তবায়ন করতে নো-ডিল চুক্তির কথা বলেন, যেখানে কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে বলে জানান তিনি।

যদিও ব্রেক্সিটের নো-ডিল চুক্তির মধ্যে দিয়ে গেলে যুক্তরাজ্যকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে এক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থা, শুল্কমুক্ত আমদানি, আমদানি পণ্যের দর বৃদ্ধি, সম্পৃক্ত প্রশাসনিক সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসা, ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে হেলথ ইনস্যুরেন্স সেবা স্থগিত, মোবাইল কলরেটে রোমিং চার্জ আরোপ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর