সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পম্পেও এক টুইট বার্তায় বলেন, ইয়েমেন থেকেই যে ড্রোনগুলো এসেছিল, তার কোনো প্রমাণ নেই। এ হামলার জন্য যদি হুথি বিদ্রোহীরাই দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত কয়েক'শ মাইল পথ উড়িয়ে আনতে হয়েছে ড্রোনগুলোকে। আমরা পৃথিবীর সব জাতিকে আহ্বান জানাই ইরানের এ হামলার প্রকাশ্য ও দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানাতে। এটি বিশ্বের তেল সরবরাহের একটি নজিরবিহীন হামলা ছিলো বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধুদেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই আগ্রাসনের জন্য ইরানই দায়ী।'
এদিকে এ হামলায় হোয়াইট হাউজ থকে দেওয়া এ বরাতে জানানো হয়, সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোনো ধরনের সাহায্য দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা: অর্ধেকের নিচে উৎপাদন
উল্লেখ্য, শনিবার (১৪ আগস্ট) সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার এ ঘটনা জানানো হয়। হামলায় তেল স্থাপনা দুটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় টিভি ফুটেজের ভিডিওতে কালো ধোঁয়া ও আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। বৃহৎ এ দুটি স্থাপনায় আগুন লাগায় এই মুহূর্তে তেল উৎপাদন বন্ধ আছে। এ নিয়ে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছনে বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা