মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়ছে না, লড়াই চলছে

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-24 01:27:32

২১ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর একতরফা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে শান ও রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সশস্ত্র দল ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে আবার লড়াই শুরু হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী গত বছরের ডিসেম্বরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর। এরপর আর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াবে না বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

আরাকান আর্মি (এএ), তাং জাতীয় মুক্তি বাহিনী (টিএনএলএ) এবং শান স্টেট পুনরুদ্ধার কাউন্সিলসহ (আরসিএসএস) জাতিগত সশস্ত্র দলগুলো জানিয়েছে, তাদের বিদ্রোহীরা সোমবার ও মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের সেনাদের সঙ্গে লড়াই করেছেন। কিছু সংঘর্ষ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। শান স্টেটের মংকুং ও কুতকাই জনপদ এবং রাখাইন রাজ্যের কমপক্ষে পাঁচটি অঞ্চলে এ যুদ্ধ হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি সমাপ্তির বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, সামরিক বাহিনী আর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াবে না। কারণ তারা জানতে পেরেছে, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমমনা জোটগুলো যার মধ্যে টিএনএলএ, এএ এবং মিয়ানমার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বাহিনী (এমএনডিএএ) রয়েছে, তারা শান্তি চায় না।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির সময় না বাড়ানোয় জাতিগত সশস্ত্র দলগুলোর জোটের কিছু নেতা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ শান রাজ্যের কেনগটং টাউনশিপে আগামী মাসে আবার শান্তি আলোচনার জন্য সব পক্ষের বৈঠকের কথা রয়েছে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর কেংটুং-এ দুই পক্ষের শান্তি আলোচনার পর বিদ্রোহী জোট নিজেদের যুদ্ধবিরতির সময় বাড়িয়েছে। এ জোটের সদস্যরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে চেয়েছিল।

মঙ্গলবার ভোরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন ব্যাটালিয়ন সৈন্য শান রাজ্যের কুতকাই টাউনশিপের কংসর এলাকায় টিএনএলএ ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে। আক্রমণটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র দু'দিন পরে ঘটেছে।

মেজর তার আইক কিউ মঙ্গলবার বলেছেন, ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের কয়েক হাজার সেনা কংসর এলাকার একটি পাহাড়ের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধ করেছি। সেনাবাহিনী ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে আক্রমণটি শুরু করে এবং দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত ছিল। কুতকাইয়ে অবস্থিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ইউনিট স্থলবাহিনীকে সহায়তা করেছিল এবং দূর থেকে ১০৫ মিলিমিটার কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে।

বুথিডাং, মিনব্যা এবং মাইবোন শহরতলিসহ রাখাইন রাজ্যে কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে লড়াই শুরু হয়েছে। যেখানে এএ বাহিনী সাময়িকভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একটি কামান সজ্জিত ঘাঁটি দখল করে নিয়েছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর