গুজব ছড়ানোয় সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ চীন

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-22 23:34:52

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট মতে, মতামত এবং বিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে গুজবে প্রভাবিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের শীর্ষে রয়েছে চীন। সংস্থাটি বলছে ২০১৭ সালের পর থেকে বিশ্বের ৭০টি দেশে দ্বিগুণ বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিষয়টি।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট এসব তথ্য প্রকাশ করে।

তাদের দাবি, ৪৫টি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলি ভুয়া তথ্য দিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগক মাধ্যম ব্যবহার করেছে।

২৬টি স্বৈরশাসিত দেশে সরকারি তথ্য নিয়ন্ত্রণ, জনমত এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা দমন, সমালোচনাকে বঞ্চিত করা এবং রাজনৈতিক মতবিরোধ ডুবিয়ে দেওয়ার উপায় হিসেবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচারের মাধ্যমে চীন হংকংয়ের বিক্ষোভকে গণতন্ত্রের সমর্থকদের সহিংস হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে।

ফেসবুক থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ভুল তথ্য প্রকাশ করার দায়ে চীনের সাতটি ফেসবুক পেজ, তিনটি গ্রুপ এবং পাঁচটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফিলিপ হাওয়ার্ড বলেন, চীন এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যার জন্য দেশটিকে আমরা একটি বৈশ্বিক গুজব ছড়ানোর পরাশক্তি বলি। এর আগে রাশিয়ানরা জনগণের মতামতকে কাজে লাগাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারে সর্বাধিক সৃজনশীল এবং অবিচল ছিল। আমরা ভেবেছিলাম চীনের দক্ষতা আছে তবে সম্প্রতি তারা রাশিয়ান সরকার যতটা করেছে ঠিক তেমনই করে চলেছে। আমার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এখন আমরা চীনের সামর্থ্যের কিছু বুঝতে পেরেছি, চীন গণতন্ত্রের মধ্যে নির্বাচনের কথোপকথনে জড়িত হতে পারে।

অধ্যাপক হাওয়ার্ড আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের চরমপন্থিরা রাশিয়ার ব্যবহৃত কৌশলগুলি থেকে, প্রধানত ফেসবুক ও টুইটারের ব্যবহার শিখেছিল এবং এখন তারা সেগুলি তাদের নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনে ব্যবহার করছে।

প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক সামান্থা ব্র্যাডশো বলেছেন, যদিও সোশ্যাল মিডিয়া এক সময় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বিশৃঙ্খলা বাড়ায়, সহিংসতা প্ররোচিত করতে, মিডিয়া এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আস্থা কমে যাওয়ায় বর্তমানে এটি তদন্তের অধীনে চলে এসেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর