পরীক্ষামূলকভাবে একটানা ১৯ ঘণ্টার ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস এয়ারলাইনস। তারা ঘোষণা দিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি ফ্লাইট চালু করবে। যা বিশ্বের দীর্ঘতম প্লেন ভ্রমণ হবে। যার একটি শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) থেকে ফ্লাইটটি চালু হবে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন'র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।
পরীক্ষামূলক প্রথম ফ্লাইটে ৭৯৭-৯ বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমান ব্যবহৃত হবে। ১৮ অক্টোবর নিউইয়র্ক থেকে ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করবে আর রোববার সকালে সিডনিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ ফ্লাইটে ৪০-৫০টি গিনিপিগ থাকবে। এর সঙ্গে কিছু যাত্রী, পাইলট, ক্রু, বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক দল থাকবে।
পরীক্ষামূলক এই ফ্লাইটে থাকা বেশিরভাগ যাত্রীই এয়ারলাইন্স পরিষেবা প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাসের কর্মচারী। তবে সেখানে আরও ছয়জন স্বেচ্ছাসেবক যাত্রীও থাকবেন।
এর আগে, কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স ঘোষণা দিয়েছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া থেকে লন্ডন ও নিউইয়র্কে বিরতিহীন ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
এ বিষয়ে বজর্ন ফেহর্ম (অ্যারোনটিক্যাল ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক) বলেন, 'ট্রানজিট থেকে রেহাই পেতে যাত্রীরা দীর্ঘ ভ্রমণকেই বেছে নেবেন। ভ্রমণের সময় বেশি হলেও যাত্রা পথের বিরতি, বিমানবন্দরের কাস্টমসের ঝামেলা থেকে যাত্রীরা বেঁচে যাবে।'
দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি নভেম্বরে পরিচালিত হবে। সেটি লন্ডন থেকে সিডনির উদ্দেশে উড়াল দেবে। আর চলতি বছরের শেষের দিকে সর্বশেষ পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়।
এ পরীক্ষা শেষে বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইটগুলো চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দীর্ঘ এ যাত্রায় যাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার পরীক্ষা করবেন সিডনি ও মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল।
প্লেনের মূল কেবিনের যাত্রীদের একটি ডিভাইস পোশাক পরানো হবে। যার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা যাত্রীদের শারীরিক অবস্থা মনিটর করবেন। এর মধ্যে আলো, খাবার, পানীয়, চলাচল, ঘুমের ধরণ, বিনোদন এবং আলোকসজ্জা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল ফ্লাইটের থাকা ক্রুদের দিকে নজর রাখবেন। তারা পাইলটদের মানসিক অবস্থা যাচাই করবেন।
আর এই পরীক্ষার সকল তথ্য জনসম্মুখে আনা হবে বলে জানিয়েছে কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।