সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখলে গ্রাহকদের গুনতে হবে অতিরিক্ত চার্জ

ইউরোপ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-30 08:25:49

নিরাপত্তা জনিত কারণে সবাই ব্যাংকে অর্থ সংরক্ষিত রাখে। তাছাড়া ব্যাংকে অর্থ রাখলে নির্দিষ্ট একটি সময়ের পরে মুনাফাও পাওয়া যায়। তবে জমাকৃত সেই অর্থের ওপর ব্যাংক যদি মুনাফা না দিয়ে উল্টো অতিরিক্ত চার্জ বসায় তাহলে তা গ্রাহকদের জন্য হয়ে দাঁড়ায় দুশ্চিন্তার।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এমনই এক ঘোষণা দিয়েছে ক্রেডিট সুইস ব্যাংক (সিএস)। নতুন এই নিয়ম মুনাফা দেওয়ার পরিবর্তে ধনী গ্রাহকদের অর্থের ওপর পূর্বের তুলনায় বেশি চার্জ কাটা হবে বলে জানা যায়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইস ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, যেসব গ্রাহকদের দুই মিলিয়নের অধিক মার্কিন ডলার রয়েছে তাদেরকে অতিরিক্ত ০.৭৫ শতাংশ চার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ ব্যাংকটিতে যদি কোনো গ্রাহক এক বছরে তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার রাখে তাহলে গ্রাহকদের ব্যাংক ফি হিসেবে অতিরিক্ত ৭ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার দিতে হবে।

আর যেসব করপোরেট গ্রাহকদের ডলার দশ মিলিয়নের ওপরে জমা আছে তাদেরকে ০.৮৫ শতাংশ ব্যাংক চার্জ দিতে হবে। নতুন এই নিয়ম করপোরেট গ্রাহকদের জন্য ১৫ নভেম্বর থেকে আর সাধারণ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট গ্রাহকদের জন্য ১ জানুয়ারি থেকে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এর ফলে মুনাফার হারের পরিমাণ সবচেয়ে কম হবে বলে জানা যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো নেগেটিভ পয়েন্ট ব্যবহার করে আসছে। এতে করে ইউরো ব্যবহারকারী ১৯টি দেশের গ্রাহকরা ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত না রেখে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। এমনকি ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা ঋণ নিতেও উৎসাহিত হবে।

তবে নতুন এই নিয়মের ফলে আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ইউবিএস ব্যাংকও তাদের করপোরেট গ্রাহকদের জন্য একই রকম পদ্ধতির প্রয়োগের চেষ্টা করে। ইউবিএস ব্যাংকের তথ্য মতে, তারা তাদের করপোরেট গ্রাহক যাদের ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি  গচ্ছিত আছে তাদেরকে ০.৭৫ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার জন্য নিয়ম করেন। কিন্তু এ কাজে তারা ব্যর্থ হয়।

এ বিষয়ে ইউবিএস ব্যাংক থেকে বলা হয়, গচ্ছিত অর্থের ওপর শর্ত আরোপের ফলে পুঁজিবাজারে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছিল।

এ সম্পর্কে ক্রিস্টিন লেগার্ড বলেন, নতুন এই নিয়মের ফলে ইউরো অঞ্চলের নাগরিকদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। তবে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) সভাপতি মারিও ড্রাগি নতুন নিয়মের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর