দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া একটি ব্রিটিশ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ প্রায় ৭৭ বছর পর মাল্টা সৈকতে পাওয়া গেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন।
শনিবার (২ অক্টোবর) তাদের এক ভিডিও প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সিএনএন জানায়, ‘এইচএমএস আর্জ’ নামের একটি সাবমেরিন যা ব্রিটেনের দশম সাবমেরিনের অংশ ছিল। ১৯৪২ সালের ২৭ এপ্রিল মাল্টায় ভূমধ্যসাগরীয় একটি দ্বীপ থেকে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। অজানা কারণবশত সাবমেরিনটি পথেই ডুবে যায়। সম্প্রতি এই সাবমেরিনটি উদ্ধারের পরই জানা গেল এর আসল রহস্য।
ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারকারী গবেষকরা বলছেন, সাবমেরিনটি একটি দ্বীপের কাছাকাছি ডুবে যায়। এটি এখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ফুট নিচে অবস্থান করছে।
২০১৭ সালে সাবমেরিনটি খোঁজা শুরু হয়, যখন ‘এইচএমএস আর্জ’ কমান্ডারের দৌহিত্র ফ্রান্সিস ডিকসন ইউনিভার্সিটি অব মাল্টার কাছে সমুদ্রতলের একটি মানচিত্র নিয়ে কাজ শুরু করেন।
ইউনিভার্সিটি অব মাল্টার ক্লাসিক এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সিএনএনকে জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তারা মাল্টা দ্বীপের আশপাশের ১ হাজার ২০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি সমুদ্রতল নিয়ে গবেষণা করছেন। গবেষণার অংশ হিসেবে তারা সাবমেরিনটি খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেন।
সবশেষে সমুদ্রের গভীরে একটি ডুবোযান এই সাবমেরিন সম্পর্কে তথ্য দেয়। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে যে, এই সাবমেরিনটিই সেটি, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রয়েল নেভি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, শেষ পর্যন্ত সাবমেরিনটির অবস্থান শনাক্ত করা গেল।
ডুবে যাওয়া সাবমেরিনটির কমান্ডারের দৌহিত্র ফ্রান্সিস ডিকসন সিএনএনকে জানান, ‘আর্জ’ ছিল ১৩টি ছোট সাবমেরিনের একটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ডুবে যায়। টহল দেওয়ার সময় এটি ইতালিয়ান একটি যুদ্ধজাহাজকে ধ্বংস করে।
সাবমেরিনটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন লেফটেনেন্ট কমান্ডার এডওয়ার্ড টমিকসন। মাল্টায় এই সাবমেরিনটির স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হবে বলেও জানান ফ্রান্সিস ডিকসন।