৩০ বছর ধরে বধূ সেজে আছেন যে পুরুষ

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-09-01 09:38:55

ভারতের জৌনপুরের হাজুকাস গ্রামের বাসিন্দা চৌহান। লাল শাড়ি, নাকে নোলক, হাতে চুড়ি ও ঝুমকা পরে গত ত্রিশ বছর ধরে বধূ সেজে আছেন তিনি। দুনিয়া থেকে পরিবারের ১৪ জনকে হারিয়ে মৃত্যু ভয়ে পুরুষ হয়েও তিনি এ রূপ ধারণ করছেন।

চৌহানের দাবি, বধূ সেজে জীবন যাপনের পর থেকে মৃত্যু ধারা বন্ধ হয়েছে।

১৪ বছর বয়সে প্রথম বিয়ের পিঁড়িতে বসেন চৌহান। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই মারা যান তার প্রথম স্ত্রী। স্ত্রীকে হারিয়ে ২১ বছর বয়সে তিনি পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুরে কাজের সন্ধানে যান। সেখানে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। তাকে বিয়েও করেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মাথায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার প্রথম বিয়ে নিয়ে আপত্তি তুলে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চৌহান সেখান থেকে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু তার দ্বিতীয় স্ত্রী এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

এক বছর পরে ওই এলাকায় গিয়ে চৌহান ঘটনাটি জানতে পারেন। পরবর্তীতে বাড়িতে ফিরলে তার পরিবার তাকে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসায়। আর বিয়ের কিছুদিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন চৌহান। এরপর ধীরে ধীরে তার পরিবারের সবাই মারা যেতে শুরু করেন। এর মধ্যে তার বাবা, বড় ভাই-ভাবি ও তার ভাইয়ের দুই পুত্র সন্তান এবং ছোট ভাই মারা যান। এরপর তার আরেক ছোট ভাইয়ের তিন মেয়ে ও চার ছেলেও মারা যান। এছাড়া পরিবারের বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এর জন্য চৌহান তার মৃত দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মাকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রায় স্বপ্নে দেখতাম। একদিন স্বপ্নে সে কান্না করছিল এবং তার মৃত্যুর জন্য আমাকে দায়ী করে। এ সময় আমি তার কাছে ক্ষমা চাই এবং আমার পরিবারকে বাঁচাতে বললাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে সে বলে, আমি যেন বধূর সাজে সেজে থাকি। এরপর থেকে আমি বধূ সাজা শুরু করলাম। ধীরে ধীরে আমার এবং পরিবারের সকলের স্বাস্থ্য ভাল হতে শুরু করে।’

চৌহান আরও বলেন, ‘শুরুতে লোকেরা আমাকে দেখে হেসেছিল, কিন্তু আমি আমার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য এটি করেছি। মানুষ এখন আমার প্রতি সহানুভূতিশীল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর