‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত সংবাদপত্র’

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-09-01 15:57:48

নবম বাংলাদেশ বইমেলার ৬ষ্ঠ দিন ছিল ৬ নভেম্বর । এ উপলক্ষে ‘সমাজ বদলে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মনিরুজ্জামান এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী এবং কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক স্নেহাশিস সুর।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার, কলকাতার প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহ করে না। এটি যেমন জনমত তৈরি করে, তেমনি জনগণকে সংগঠিত করে, লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজ পরিবর্তনে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’

আলোচনা অনুষ্ঠানে অথিতিরা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রকে প্রশংসা করে বহুবার বলেছেন, গণতান্ত্রিক সামজে যেখানে স্বাধীন সংবাদপত্র রয়েছে, সেখানে দুর্ভিক্ষে মানুষ মারা যায় কম। মূলত যেখানে গণতন্ত্র নেই এবং স্বাধীন সংবাদপত্র নেই, সেখানে অনাহারে মানুষের মৃত্যুর হার বেশি। স্বাধীন ভারতের কোথাও যখনই খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে তা নিয়ে লেখালেখি হওয়ায় সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। তাতে অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং প্রাণহানি ঘটেছে কম। বিবেচনা করতে হবে তা জাতির সার্বিক চৈতন্যে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে কতটা। যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা রাখে, তা তত সার্থক।’

সভাপতির বক্তব্যে মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের স্তম্ভ সংসদ, প্রশাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। ঠিক এর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম। যা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত। গণমাধ্যম সমাজের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বদল আনতে পারে। তবে তা হতে হবে অবশ্যই গঠনমূলক।’

আলোচনা পর্ব শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কবিতা পাঠ করেন জয়দ্বীপ চট্টোপাধ্যায় ও মুনমুন চক্রবর্তী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কলকাতার শিল্পী ড. তানিয়া দাস ও রুণা নস্কর। নৃত্য পরিবেশন করেন- সৃজক নৃত্যনাট্যের শিল্পী বারুরী।

কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের অয়োজনে এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির উদ্যোগে কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী নবম বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর মেলা শুরু হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর