বিশ্বের সকল ধনীদের অর্থ-সম্পদের পরিমাণ কমছে। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকি কোম্পানির (ইউবিএস) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন তারা।
ইউবিএস'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী ধনীদের সম্পদ হ্রাস পেয়েছে ৪.৩ শতাংশ। ফলে ধনীদের সম্পদ ৩৮৮ বিলিয়ন ডলার কমে ৮.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে চীন ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।
বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার ফলে এমনটা ঘটছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। এ দিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আরও বাড়ছে বলে জানায় তারা। এর ফলে ধনীরা নতুন করে বিনিয়োগ থেকে বিরত এবং নগদ অর্থ সংগ্রহের দিকে ঝুঁকছে।
চীন:
বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীন। কিন্তু দেশটির ধনীদের সম্পদ কমেছে ১২.৮ শতাংশ যা ২০১৮ সালের পর সর্বনিম্ন। এর ফলে অনেক ধনী ব্যক্তি বিলিয়নিয়ার ক্লাব থেকে বের হয়ে যাওয়ার মুখে পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে পতনের মুখেও নতুন নতুন ধনীদের সংখ্যা বাড়ছে চীনে। দেশটিতে দুই থেকে আড়াই দিনের মধ্যে নতুন করে একজন বিলিয়নিয়ার ক্লাবে প্রবেশ করছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটিতে ধনীদের নগদ আয় যতটা না হচ্ছে, তার চেয়ে ঋণ হচ্ছে বেশি।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল:
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে, বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৭.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে অঞ্চলটিতে এখন বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৭৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দিকে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতে অতি ধনীদের সম্পদও 8.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে অঞ্চলগুলোর ধনীদের সম্পদের পরিমাণ ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ যেখানে অতি ধনীদের সম্পদও বেড়েছে ০.১ শতাংশ। ফলে দেশটিতে ২০১৮ সালে বিলিয়নয়ারের সংখ্যা বেড়ে ৭৪৯ জনে পৌঁছেছে।