৫৩ বিলিয়ন ব্যারেলের নতুন তেলের খনির সন্ধান পেয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইয়াজদে শহরের একটি অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৫৩ বিলিয়ন ব্যারেলের নতুন একটি তেল খনির সন্ধান পেয়েছি। যার ফলে আমাদের তেলের মজুদ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে গেছে। যা বোস্তান থেকে ওমিডিয়েহ পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। তেলের স্তরের গভীরতা ২৬২ ফুট।
রুহানি ইয়াজদে আরও বলেন, ‘নতুন তেলের খনি থেকে আমরা যদি ১ শতাংশও তেলও উৎপাদন করতে পারি, তাহলে রাজস্ব বেড়ে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। আমি হোয়াইট হাউসকে বলেছি, যখন তোমরা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছ, তখন আমাদের দেশের কর্মীরা ও প্রকৌশলীরা নতুন এ তেলের খনি আবিষ্কার করল।’
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, নতুন এই তেল খনিটি ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল খনি। আর ৬৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে আহবাজ।
নতুন তেল ক্ষেত্রটি দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলের খুজেস্তানে পাওয়া গেছে। আর ৯২৬ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এর অবস্থান। খনিতে প্রায় ৫৩ বিলিয়ন অপরিশোধিত তেল রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটি তাদের তেল বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছে। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হওয়ার পর থেকে ইরানের ওপর অবরোধ দিয়ে আসছে তারা।
উল্লেখ্য, ইরান বিশ্বের বৃহত্তম তেল উত্পাদনকারীদের মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলারের তেল দেশটি রফতানি করে। এছাড়া দেশটিতে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুদ রয়েছে। দেশটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেলের মজুদকারী দেশ। এছাড়া গ্যাসের মজুদের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থান দখল করে রয়েছে ইরান।