টাকা দ্যাও, দুবাই যামু'

, আন্তর্জাতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 01:20:08

আশির দশকে দুবাই যাওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছিল দেশে। বিদেশ বলতেই তখন দুবাইকে ধরা হতো। স্রোতের মত মানুষ ছুটেছিলেন দুবাই, আবুধাবী। দুবাই সে সময় জনজীবনে এতোটাই প্রভাব ফেলেছিল যে, বিটিভিতে আমজাদ হোসেন রচিত ঈদের নাটকে ফরিদ আলীর মুখে 'টাকা দ্যাও, দুবাই যামু' সংলাপটি মুখে মুখে উচ্চারিত হতো।

'সেই স্বপ্ন ও পেট্রোডলারের দুবাইয়ে বাংলাদেশীরা কেমন আছেন?' তিন মাস দুবাই সহ পুরো সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গবেষণা কাজ শেষে বাংলাদেশে ফিরে বার্তা২৪.কমকে সে সম্পর্কে জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক আক্কাস আহমদ।

'দুবাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশীদের মধ্যে চট্টগ্রামের মানুষ বেশি,' জানান আক্কাস আহমদ, 'তার মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের লোক সর্বাধিক।'

বার্তা২৪ কমকে তিনি জানান, 'আগে বাংলাদেশের মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাত বুঝতো না। মনে করতো সবটাই দুবাই। এখন সে ধারণা বদলেছে। সে দেশের সাতটি আলাদা রাজ্যেই বাংলাদেশীরা আছেন।'

অধ্যাপক আক্কাস জানান, 'ইউএই'র গ্রামে ও প্রত্যন্ত এলাকায় বাংলাদেশী আলেমগণ মসজিদ-মক্তবে ইমাম, মুয়াজ্জিন, মোয়াল্লেম (শিক্ষক) হিসাবে কর্মরত আছেন। যেসব আলেম ভালো আরবি জানেন, তাদের কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন মার্কেটে ব্যবসা এবং নানা ধরনের খাদ্য ও সবজি সরবরাহে বেশ কিছু বাংলাদেশি সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। তারা আছেন ইনভেস্টর ভিসায়।'

'সবচেয়ে মারাত্মক দিক হলো, বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা বন্ধ আছে এবং ম্যানপাওয়ার এক্সপোর্টে বাংলাদেশ মার খাচ্ছে। প্রধানত ভারতীয় কেরালা ও মালয় নাগরিকগণ সে সুবিধাটি নিচ্ছে', জানান তিনি।

অধ্যাপক আক্কাস বলেন, 'অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুবাই হলো মিনি ইন্ডিয়া। বড় বড় ব্যবসা ভারতীয়দের হাতে। চীন বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রীর ব্যবসা বিস্তার করে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে।'

বাংলাদেশীদের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের দুয়ার প্রাথমিক অবস্থায় দুবাইকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত হয়েছিল। পরে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ও মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের জনশক্তি বাজার প্রসারিত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশীদের জন্য দুবাই তথা ইউএই'র ভিসা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে এখনই চেষ্টা চালানো দরকার।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর