চলছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-09 08:34:34

ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে চলছে শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে দেশটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনে নেই কোন আমেজ। উল্টো নির্বাচন ঘিরে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কাজ করছে ভয় ও অনিশ্চয়তার।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিক থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ২২টি জেলার ১২ হাজার ৮৪৫টি ভোট সেন্টারে প্রায় ১৫ কোটি নয় লাখ ভোটার ভোট দিবেন। এছাড়া রেকর্ড সংখ্যাক ৩৫ জন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন। নির্বাচন উপলক্ষে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার পুলিশ সদস্য। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে রয়েছেন আরও আট হাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সদস্য।

নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও দুই বারের প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসের ভাই গোটবায়া রাজাপাকসা এবং ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাসা নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন। প্রেসিডেন্ট পদে তাদের দুইজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

এবারের ভোটে লড়ছেন না সাবেক রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। দেশটিতে বড়দিনের হামলায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানায় তিনি। ওই হামলায় নিহত হন ২৫৩ জন মানুষ এবং হামলার দায় স্বীকার করেন মুসলিম জঙ্গি সংগঠন আইএস। এরপর থেকেই দেশটিতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চলতে থাকে। তবে নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৮১.৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ওই নির্বাচনে মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জয়ী হন। কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে সিরিসেনার দলের প্রার্থী প্রেমাদাসা তাকে অপসারণের জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করেন। আর এই ক্যাম্পেইনটি দেশটিকে বিভক্ত করে দেয়।

ভোট গ্রহণের আগে থেকেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে পুত্তুলাম শহরে বন্দুকধারীরা মুসলিম ভোটারদের বহনকারী বাসে হামলা চালিয়েছে। তবে হামলায় কোন হতাহতের খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে বলে জানায় দেশটির পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

দেশটির নির্বাচন সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) চেয়ারম্যান আলান কিনান বলেন, যদি রাজাপাকাস প্রেসিডেন্ট হয় তাহলে দেশটিতে জাতিগত উত্তেজনা আরও বেড়ে যাবে। এছাড়া সংখ্যালঘু এবং গণতান্ত্রিক কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলবে।

এ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ বলতে রাজি নন দেশটির জাতীয় সমন্বয়কারী মঞ্জুলা গজনায়ক। নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করছেন তিনি।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে সরকারি সম্পদের ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। নির্বাচনের ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৭ শতাংশতে নেমে আসবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর