ভারত ‘হিন্দু রাষ্ট্র’, বললেন বিজেপির এমপি

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | 2023-08-27 05:10:20

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপির) সংসদ সদস্য রবি কিশান বলেছেন, ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র। কেন হিন্দু রাষ্ট্র তার ব্যাখাও দিয়েছেন অভিনেতা থেকে রাজনীতিক হয়ে যাওয়া কিশান। তার যুক্তি ভারতে প্রায় একশো কোটি হিন্দু বসবাস করে, তাই এটি হিন্দু রাষ্ট্র।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিল নিয়ে এ বিতর্কিত মন্তব্য করেন রবি কিশান।

উত্তরপ্রদেশের এ সংসদ সদস্য বলেন, ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা একশো কোটি। তাই এটি একটি হিন্দু রাষ্ট্র। বিশ্বে অনেক মুসলিম ও খ্রিস্টান রাষ্ট্র রয়েছে। এটা খুবই বিস্ময়কর যে, আমাদের সংস্কৃতিকে জীবন্ত রাখতে আমাদের দেশকে আমরা ‘ভারত’ বলি।

অসংখ্য হিন্দি ও ভোজপুরি সিনেমার অভিনেতা কিশান বলেন, যদি (বিশ্বে) মুসলিম ও খ্রিস্টান রাষ্ট্র থাকতে পারে তাহলে (ভারত) কেন হিন্দু রাষ্ট্র হবে না।

নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিল নিয়ে বিরোধীদের আপত্তির সমালোচনাও করেন তিনি। কিশান বলেন, বিরোধীরা পাগল হয়ে গেছে।

এ বিলে ভারতের প্রতিবেশী বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অন্যান্যরা অভিযোগ করেছে, এ বিল মুসলিম বিদ্বেষী। বিলটিকে তারা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির বিরোধী বলে উল্লেখ করেছে।

কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, আমি মনে করি বিলটি মৌলিকভাবে অসাংবিধানিক। কেননা ভারতের যে মৌলিক ধারণা সেটিকে লঙ্ঘন করেছে এ বিল। যারা বিশ্বাস করেন, ধর্মের ভিত্তিতে জাতীয়তা নির্ধারিত হবে, সেটি পাকিস্তানের ধারণা, তারা পাকিস্তান তৈরি করছে।

বিতর্কিত এ বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের মন্ত্রিপরিষদ। আগামী সপ্তাহে লোকসভায় বিলটি উত্থাপন করা হতে পারে। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সহজে বিলটি পাস হলেও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় আটকে যেতে পারে। রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিরোধীদের। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বামপন্থি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল বিলের বিপক্ষে।

১৯৫৫ সালের একটি আইনের সংশোধনী আনতে এ বিল নিয়ে আসছে বিজেপি সরকার। পুরনো আইনে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদি ছাড়া যেসব হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন সম্প্রদায়ের লোক অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে বা অনুমোদিত মেয়াদ পার হওয়ার পরও এসব সম্প্রদায়ের যারা ভারতে অবস্থান করছে তাদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পুরনো আইনে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর