কফি তুরস্কের তুর্কি সংস্কৃতির অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। ৫ ডিসেম্বরকে ‘বিশ্ব তুর্কি কফি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ২০১৩ সালে এই দিনটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কফি সংস্কৃতি তুরস্কে প্রায় ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে। দেশটিতে শান্তি ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে কফিকে বিবেচনা করা হয়। এই দিনটিতে তুর্কিরা বন্ধু-বান্ধব পরিবারের সঙ্গে কফি উৎসবে মেতে উঠে।
তুরস্ক বা অটোমান সাম্রাজ্যে কফি পানকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হতো। ইতিহাস থেকে জানা যায়, তুরস্কে অটোমানরা এমন আইন করেছিল, যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর কফির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হতো তাহলে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারতো।
ষোল শতকের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া, ককেশাস ও উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত তুর্কি-অটোমানদের বিস্তার ছিল। অটোমানদের পছন্দের পানীয় ছিল কফি।