সব ধরনের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট থেকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে রাশিয়া। ডোপ টেস্টের তথ্য গোপন ও তথ্য পরিবর্তন করায় বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থা (ওয়াডা) দেশটিকে নিষিদ্ধ করেছে।
সুইজারল্যান্ডের লসানে এক সভায় ওয়াডার কার্যনির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর ফলে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক ও কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে রাশিয়া অংশ নিতে পারবে না। এমনকি দেশটির জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের অনুমতিও দেওয়া হবে না।
তবে রাশিয়ার যেসব অ্যাথলেটরা ডোপিং কেলেঙ্কারি থেকে বেঁচে যাবেন তারা একটি নিরপেক্ষ পতাকার নীচে ব্যক্তিগতভাবে অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (রুসাডা) জানায়, তাদের ল্যাবরেটরিতে কোনো তথ্য হেরফের হয়নি। কিন্তু ওয়াডার তদন্তকারীরা তথ্য মুছে ফেলার প্রমাণ পান। যার প্রেক্ষিতে তাদের এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
ওয়াডা জানিয়েছে, ২১ দিনের মধ্যে রুসাডা নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে আবেদন করতে পারবে। আর তারা যদি আবেদন করে তাহলে আবেদনটি কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে (ক্যাস) চলে যাবে।
এর আগেও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিল রাশিয়া। ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে রাশিয়ার ১৬৮ জন অ্যাথলেট একটি নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে ওই অলিম্পিকে অংশ নেন।
তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০২০ সালের ইউরোতে অংশ নিতে পারবে রাশিয়া। কারণ ইউরোপীয় ফুটবলের এই আসরকে বৈশ্বিক ইভেন্ট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেনি ওয়াডা।