বিরোধিতার মুখে ভারতের লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল উত্থাপন

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 00:19:32

প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নাগরিকত্ব প্রদানে বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল উত্থাপিত হয়েছে লোকসভায়।

বিরোধিতার মুখে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিল উত্থাপন করেন।

১৯৫৫ সালের একটি আইনের সংশোধনী আনতে এ বিল উত্থাপন করলো বিজেপি সরকার। পুরোনো আইনে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদি ছাড়া যেসব হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন সম্প্রদায়ের লোকেরা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে বা অনুমোদিত মেয়াদ পার হওয়ার পরও এসব সম্প্রদায়ের যারা অবস্থান করছে তাদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পুরনো আইনে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।

অমিত শাহ বিলের ওপর দেওয়া বক্তব্যে বলেন, (ভারতের) সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকলে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরাও সেরকম সুযোগ-সুবিধার দাবিদার।

লোকসভায় বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের অনেকে বিলটি সংবিধানের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন। বিরোধীদের দাবি, ভারতের সংবিধানের ১১ ও ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে এ বিল।

অমিত শাহ বলেন, ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে ধর্মের ভিত্তিতে আইন বানাতে সরকারকে কোনো ধরনের বাধা নেই। নিজের যুক্তিকে পাকাপোক্ত করতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের ইন্ধিরা গান্ধীর সরকার নাগরিকত্ব দিয়েছিলো বলে দাবি করেন তিনি।

উগান্ডা থেকে আসা ব্যক্তিদেরও আগের সরকার নাগরিকত্ব দিয়েছে বলে মন্তব্য করে অমিত শাহ বলেন, পুরো বিশ্বজুড়ে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় যৌক্তিক শ্রেণীবিন্যাসের ভিত্তিতে।

এ বিলের অন্যতম বিরোধিতাকারী কংগ্রেসের সদস্য শশী থারুর। বিলটি উত্থাপনে সংসদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এ বিল উত্থাপন করায় অমিত শাহকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা ভারতের মৌলিক ভিত্তি। আর এ বিলের মাধ্যমে সেই ভিত্তিকে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পার্লামেন্টে উত্থাপনের আগ থেকেই ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিলটির বিরোধিতা করছে। বিরোধিতা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও।

এ সম্পর্কিত আরও খবর