মিয়ানমারের চার সেনা কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আমেরিকা, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 15:49:55

রোহিঙ্গাসহ সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ চার সামরিক কর্মকর্তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার(১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ভাইস সিনিয়র জেনারেল সোয়ে উইন, ৯৯ লাইট ইনফানট্রি ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং ৩৩ লাইট ইনফানট্রি ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং।

মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে এটিই কঠোরতম। এর ফলে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না মার্কিন নাগরিকেরা।  

নেদারল্যান্ডস এর দ্য হেগ শহরের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত আইসিজে’তে রোহিঙ্গা গণহত্যায় সেদেশের সামরিক বাহিনীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেশ করার পরদিনই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নতুন নয়। এর আগেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর অধীনে নিযুক্তরা মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনে লিপ্ত হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া হ্লেইংয়ের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের জন্য দায়বদ্ধ ছিল এবং শেষ পর্যন্ত ৫ লক্ষাধিক লোককে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। সৈন্যদের দ্বারা গণধর্ষণ এবং অন্যান্য ধরনের যৌন সহিংসতার ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। 

সেনা অভিযানে শত শত পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল। বেশিরভাগ পুরুষকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল, এবং নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। এই নারী ও শিশুদের বেশিরভাগকে পরে ছুরিকাঘাত ও মারধর করা হয়, তারা ঘরের ভেতরে থাকাকালীন বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।  

২০১৭ সালে আগস্টের অভিযানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক যৌন সহিংসতাসহ গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এই অপারেশনে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

রাখাইন রাজ্য এবং অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে সেখানে বার্মিজ সামরিক ইউনিটগুলো সরাসরি যুক্ত।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সংস্কার ও সেনাবাহিনীর ওপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর