ওআইসির সিদ্ধান্তে গাম্বিয়া মামলা করেছে—কথাটি ঠিক নয়। এমনটাই বলছেন গাম্বিয়ার পক্ষের আইনজীবী পিয়েঁর দ্য আর্জেন। তার দাবি, মিয়ানমারের পক্ষে ক্রিস্টোফার স্টকার যে দাবি করেছেন তা ভিত্তিহীন। কেননা মিয়ানমারের সঙ্গে ওআইসির বিরোধ নেই, রয়েছে গাম্বিয়ার। জাতিসংঘ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের তথ্যের ভিত্তিতেই গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে গাম্বিয়া আদালতে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) শুনানির তৃতীয় দিনে যুক্তিখণ্ডন অংশে এসব কথা বলেন তিনি। আদালতের প্রেসিডেন্ট ইউসুফের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সময় ৩টায় এ শুনানি শুরু হয়।
আর্জেন বলেন, সনদ লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের অধিকার স্বাক্ষরকারী হিসেবে গাম্বিয়ার রয়েছে। গাম্বিয়া স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এই মামলা করেছে। তবে গাম্বিয়া ওআইসির সাহায্য চাইতেই পারে। এর মানে এই নয় যে, গাম্বিয়া ওআইসির হয়ে মামলা করেছে।
গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আববুবকর তামবাদু তার বক্তব্যে বলেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে এবং সনদের রক্ষক হিসেবে গাম্বিয়া গণহত্যা এই আদালতের কাছে জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার নির্দেশনার দাবি জানাচ্ছে।
১৯৪৮ সালে গণহত্যা সনদের বাধ্যবাধকতা মিয়ানমার পূরণ করছে কিনা সে প্রশ্ন তোলার অধিকার গাম্বিয়ার অবশ্যই রয়েছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ফিলিপ।
বিকেল সাড়ে চারটায় পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়। পরবর্তী অধিবেশনে মিয়ানমার তার যুক্তি তুলে ধরবে।
গাম্বিয়ার আইনজীবীরা মিয়ানমারের যুক্তি খণ্ডন করে তাদের আবেদনের পক্ষে সমাপনী বক্তব্য দেবেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি আদালতে বলেন, আরাকানে কোন গণহত্যা ঘটেনি, সেখানে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে সে দেশের সেনাবাহিনী।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া গত ১১ নভেম্বর দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করে।