নাগরিকত্ব বিলে রাষ্ট্রপতির সই, বিক্ষোভ অব্যাহত

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 06:15:26

ভারতের বিতর্কিত নাগরিক সংশোধনী বিল-২০১৯ এ সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তার এ সইয়ের মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিতর্কিত আইনের আওতায় প্রতিবেশী তিন দেশ –আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবৈধ অমসুলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।

বৃহস্পতিবার সরকারি প্রজ্ঞাপন হিসেবে আইনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় থেকেই নতুন আইনটি কার্যকর হয়। ৯ ডিসেম্বর লোকসভা ও ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় তুমুল বিতর্কের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতেই এ বিল। কংগ্রেসসহ বিলের বিরোধীদের দাবি, এ বিলের মাধ্যমে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রে আঘাত করা হয়েছে।

বিলটি লোকসভায় উত্থাপনের দিন থেকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন অংশে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে চলছে সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ। আসামের বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ বিলের কারণে অবৈধভাবে রাজ্যটি প্রবেশ করার বাঙালি হিন্দুরা বা কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের‘ নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সরকারের এ পদক্ষেপে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের। কংগ্রেস ও বিভিন্ন বামপন্থি শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সংগঠনও আন্দোলনে নামলেও মূলত এনআরসি সমর্থকরাই আন্দোলনের প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, রয়েছে বিজেপি সমর্থকেরাও।
আন্দোলনের ভয়াবহ রুখতে আসামে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তবে, কারফিউ ভেঙে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের এ রাজ্যে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৩ বিক্ষোভকারী ও আহত হয়েছে অনেকে।

বিক্ষোভ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসামের চার এলাকায় সেনাসদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। আসামে টানা দুদিনের মতো চলছে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা।

বিক্ষোভের কারণে অচল হয়ে পড়েছে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্থবির হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বিভিন্নস্থান গামী ও আসা ফ্লাইট বাতিল করছে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ।

একই ধরনের বিক্ষোভ চলছে ত্রিপুরা রাজ্যেও। বুধবার থেকেই রাজ্যটি চলছে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। এদিকে আসামের সঙ্গে লাগোয় মেঘালয় রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। ওইসব এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটনার আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর