বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মোদি

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 14:40:13

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) সহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর প্রতি উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বিরোধী দলগুলো গুজব ছড়াচ্ছে দাবি করে মোদি বলেন, তাদের (কংগ্রেস ও তার মিত্রদের) যদি সাহস থাকে তারা খোলাখুলিভাবে বলুক, তারা পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিককে ভারতের নাগরিকত্ব দেবে। তখন দেশের জনগণ তার উচিত জবাব দেবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।

তিনি বলেন, শুধু এটাই নয়, তাদের যদি সাহস থাকে তারা বলুক, (ক্ষমতায় আসলে) তারা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রত্যাহার করা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনবে।

কংগ্রেস মিথ্যা ও ভয় ছড়ানোর রাজনীতি করে অভিযোগ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করলাম আর এখন তারা মিথ্যা ছড়ানো শুরু করল। কিন্তু আমি বলতে চাই—নাগরিকত্ব আইনের কারণে দেশের কোন নাগরিকের ক্ষতি হবে না।

নাগরিকত্ব আইন প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য হয়েছে বলে দাবি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

কংগ্রেসকে মিথ্যার রাজনীতি ছাড়া উচিত বলে মন্তব্য করে মোদি বলেন, ভারতের সংবিধান আমাদের একমাত্র পবিত্র গ্রন্থ। আমি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমাদের নীতি ও সিদ্ধান্তের ওপর বিতর্ক ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানাই।

শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকারীদের কথা তার সরকার শুনবে বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দল ও নগরের নকশালরা অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন মোদি।

এর আগেও মোদির দল বিজেপি ও তার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় ধর্মীয় নিরপেক্ষ সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবীদের নগরের নকশালবাদী (আরবান নকশাল) হিসেবে অভিহিত করেছে।

গত সপ্তাহে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর রাজধানী দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে রোববার (১৫ ডিসেম্বর)। এরপর দিন সোমবারের বিক্ষোভেও পুলিশের সঙ্গে তাদের বিক্ষোভ হয়।

উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভ হচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশের হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।

এ সম্পর্কিত আরও খবর