বিক্ষোভকারীদের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 04:27:41

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিক্ষোভ চলছে পুরো ভারতে। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে দেশটির উত্তর প্রদেশে। বিক্ষোভ চলাকালীন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে যানবাহনসহ নানান রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আর বিক্ষোভে সরকারি মালের ক্ষতি করায় ২৮ জন নাগরিকের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকার কর্তৃপক্ষ। সরকারের তরফ থেকে পাঠানো এই নোটিশে ১৪.৮৬ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

এর আগে লাখনৌ ও সাম্বালের সহিংস বিক্ষোভের পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে করে বলেছিলেন, জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি করার সঙ্গে জড়িতদের সমস্ত সম্পত্তি জব্দ করা হবে এবং লোকসানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নিলাম করা হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করা হবে ও বদলা নেওয়া হবে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ছবি: সংগৃহীত

সহিংসতার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পুলিশ হেলমেট, লাঠি ও গুলিবিশেষের জন্য ২৮ জনকে অর্থ প্রদান করতে প্রশাসন থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সহিংসতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেফতার এবং দেড় শতাধিককে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকার কর্তৃপক্ষ মুজাফফারনগরের প্রায় ৬০টি দোকানকে সিলগালা করে দেয়।

চলতি সপ্তাহের শনিবার উত্তর প্রদেশের রামপুরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বিক্ষোভকারী মারা যায়। বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর প্রেক্ষিতে চারটি মোটরসাইকেল এবং একটি পুলিশি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে এবং তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।

এ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশে সহিংসতায় ১৫ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, বিজেপি সরকারের এই বিতর্কিত আইন নিয়ে চলছে দেশব্যাপী বিক্ষোভ। কিন্তু বিক্ষোভকে উপেক্ষা করে আইনটিকে সঠিক বলছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সরকারের মতে, নতুন এই আইন মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশী সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় নিপীড়িত হলে তাদের ভারত নাগরিকত্ব দিবে। তবে সমালোচকরা বলছেন এটি মুসলিমদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর