লিবিয়ায় সেনা পাঠাবে তুরস্ক

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 18:16:50

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারকে সহায়তা করতে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান। উত্তর আফ্রিকার দেশটির অনুরোধের পরই তার সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আঙ্কারায় দেওয়া এক ভাষণে এরদোগান জানান, লিবিয়ায় সেনা পাঠানো নিয়ে পার্লামেন্টে ৭ জানুয়ারি একটি বিল উত্থাপন করবেন তিনি।

নিজ দল একে পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেহেতু (লিবিয়া) অনুরোধ করেছে, আমরা তা গ্রহণ করবো। পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হলেই যত দ্রুত সম্ভব আমরা বিষয়টি তুলবো। তার প্রস্তাব পার্লামেন্টে ৮ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে পাস হবে বলে আশাবাদী তিনি।

গত মাসে তুরস্ক সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সারাজের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারের মধ্যে নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরই মধ্যে স্মারকটি দুই সরকারের পার্লামেন্টে অনুমোদন হয়েছে।

তবে, লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়টির জন্য নতুন বিল উত্থাপন করা প্রয়োজন বলে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সমঝোতা স্মারকে লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ নেই।

২০১১ সালে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় অরাজকতা বিরাজ করছে। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ত্রিপোলি ভিত্তিক ঐক্যমতের সরকারের পাশাপাশি লিবিয়ার একাংশে আধিপত্য বজায় রেখেছে সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতারের নিজের বাহিনী লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। তেল সমৃদ্ধ লিবিয়ার পূর্বাংশে শাসন ধরে রেখেছে হাফতারের বাহিনী।

চলতি বছরের এপ্রিলে জাতীয় ঐক্যের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে হাফতার। তার অভিযোগ, জাতীয় ঐক্যের সরকার সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে। এরই মধ্যে জাতীয় ঐক্যের সরকারের শাসনে থাকা কিছু এলাকার দখল নিয়েছে হাফতার বাহিনী। এই অবস্থায় তুরস্ক সেনা পাঠালে জাতীয় ঐক্যের সরকারের সামরিক শক্তি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতি সমর্থন রয়েছে তুরস্ক ও কাতারের। অন্য দিকে, হাফতারের প্রতি সমর্থন রয়েছে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর ও ফ্রান্সের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর