তানজানিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক স্ত্রী গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে। ৫৭ বছর বয়সে গন্ডারটির মৃত্যু হয়। এক বিবৃতির মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অসুস্থতার কারণে ২৭ ডিসেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক গন্ডার মারা গেছে।
স্থানীয় ভাষায় গন্ডারটিকে ফাউস্টা বলা হত। তাকে সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে তাকে গেরোংগোরো অঞ্চলে প্রথম দেখা যায়। তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিনবছর।
৫৪ বছরের বেশি সময় ধরে গন্ডারটি ওই এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। যার ফলে সর্বশেষ কয়েক বছর ধরে গন্ডারটি অভয়ারণ্যে বিশেষ পরিচর্যার মধ্যে রয়েছিলো।
এদিকে বাচ্চা না থাকায় ফস্টা দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলো বলে ধারণা করছে গেরোংগোরোর প্রাণী সংরক্ষণবিদরা।
২০১৬ সালের দিক থেকে ফাউস্টার দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এছাড়া হিংস্র প্রাণী হায়েনার আক্রমণে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় ভুগছিলো ফাউস্টা। আর তারপর থেকেই বিশেষ ব্যবস্থায় গন্ডারটিকে রাখা হয়েছিলো বলে জানায় গেরোংগোরোর প্রাণী সংরক্ষণবিদ ড. ফ্রেডি মানঙ্গি।
এদিকে ফাউস্টার মৃত্যুর দিনেই অভয়ারণ্যে আরেকটি গন্ডারের জন্ম হয়েছে বলে জানান তিনি।
বন্য গন্ডার সাধারণত ৩৭ থেকে ৪৩ বছর বেঁচে থাকে। আর অভয়ারণ্যে ৫০ বছরের বেশি পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে কালো রঙের এই প্রজাতির গন্ডার। দিন দিন এ ধরনের গন্ডারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। গন্ডারের শিংয়ের জন্য শিকারির আক্রমণের তালিকায় থাকে এ প্রজাতির গন্ডার।