জেএনইউতে হামলাকারীদের পরিচয় মিলছে!

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 16:01:37

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের কারো কারো পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনভিটিভি একটি ভিডিও এবং কিছু স্থিরচিত্রের ভিত্তিতে বলছে, হামলার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় থাকা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শিক্ষার্থী সংগঠনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

রোববারের হামলার পরপরই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি প্রকাশ পায়। এসব ভিডিওর একটিতে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজনকে দেখা যায়। তারা বিজেপির শিক্ষার্থী সংগঠন অখিল ভারত বিদ্যার্থী সংগঠন পরিষদের (এবিভিপি) পদধারী নেতা ও কর্মী।

এনডিভি জানায়, এক ছবিতে এবিভিপির জেএনইউ শাখার নির্বাহী কমিটির সদস্য বিকাশ প্যাটেলকে লাঠিসোটা নিয়ে একদল তরুণের সঙ্গে দেখা গেছে। বিকাশের হাতে পুলিশের লাঠির মতো একটি লাঠিও দেখতে পাওয়া যায়। একই ছবিতে জেএনইউ'র স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র শিব পুজান মন্ডলসহ অনেকের হাতে লাঠি ও গাছের ডাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ছবিটি জেএনইউতে হামলার আগে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শিব পুজান বিজেপির শিক্ষার্থী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অন্য আরেকটি ছবিতে লাঠি-সোটা ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায় শিব পুজানসহ অন্যান্যদের। শিব পুজানকে হামলার পর ক্যাম্পাস ছাড়তেও দেখা গেছে এক ভিডিওতে।

এছাড়াও হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার পরিকল্পনা ও অনুসারীদের যোগ দেয়ার বিষয়ে বার্তা-আদান প্রদানের প্রমাণও পেয়েছে এনডিটিভি।

হামলার তীব্র নিন্দা ও পুলিশের চুপ থাকা নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা হওয়ায় বিকাশ প্যাটেলসহ এবিভিপির নেতা ও কর্মীরা এরই মধ্যে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রমাণ মুছে ফেলছেন।

তবে এবিভিপির সভাপতি দুর্গেশ কুমার হামলার ঘটনায় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, তাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছে বলে দাবি দুর্গেশের।

রোববার (৫ জানুয়ারি)সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের ভেতর প্রায় ২শ শিক্ষার্থী ও ৫০ জনের মতো শিক্ষক ক্যাম্পাসে একটি সমাবেশ করছিলেন। অতর্কিত ওই সমাবেশে হামলা হয়। এতে আহত হয় প্রায় ৪০ জন। তাদের অনেকে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঠিক কী কারণে হামলা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এরই মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তারা সন্দেহভাজন বিভিন্নজনকে চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানে বিক্ষোভ চলছে।

জেএনইউতে হোস্টেল ফিসহ বিভিন্ন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ করে আসছে বামপন্থী নেতৃত্বাধীন শিক্ষার্থী সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষার্থী সংগঠন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর