২০১৯ সালে শ্রীলংকায় রেকর্ড সংখ্যক হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরে ৩৬১টি হাতি মারা গেছে। যা ১৯৪৮ সালের পর সর্বোচ্চ।
আর সর্বশেষ বছরে যতগুলো হাতি প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বেশিরভাগকেই হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় সংগঠনগুলো।
বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বন্য হাতি রয়েছে শ্রীলংকায়। দেশটির আইন অনুযায়ী, তাদের হত্যা করা অবৈধ। কিন্তু বন্য হাতিগুলো প্রায়শ গ্রামীণ জনপদে ঢুকে পড়ে ও খাদ্য শস্য নষ্ট করে। যার ফলে স্থানীয়রা হাতিদের মারতে উদ্ধৃত হয়।
শ্রীলঙ্কায় হাতিদের শ্রদ্ধা করা হয় তবে কিছু কৃষক এখনো এগুলোকে কীট হিসাবে আখ্যায়িত করেন।
দেশটির পরিবেশবিদ সজীবওয়া চামিকারা বিবিসিকে বলেন, গত বছরে যত হাতি মারা গেছে তার ৮৫ শতাংশ মানুষের কারণেই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা পশুদের মারার জন্য বৈদ্যুতিক বেড়া, বিষ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকায় ৭টি হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করে, খাদ্যশস্য ধ্বংস করায় তাদের বিষ দিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। এরপর থেকে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ হাতি সংরক্ষণে কাজ করবে বলে জানায়।
এছাড়া স্থানীয়দের সঙ্গে হাতিদের দ্বন্দ্ব কমাতে বেড়া তৈরি করা হবে বলে জানায় তারা।
তবে চামিকারা বলেন, হাতিদের খাওয়ানো তৃণভূমিতে গড়ে ওঠা আক্রমণাত্মক উদ্ভিদের ইস্যু মোকাবেলার জন্য ও সুরক্ষিত অভয়ারণ্যগুলোর মান উন্নয়নে সরকারের আরও পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তিনি আরও জানান, আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবেশ বান্ধব নয়।
এদিকে হাতির মৃত্যুর জন্য ট্রেনের লাইনকেও দায়ী করছে চামিকারা। তিনি বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে বেশিরভাগ বন্য হাতির মৃত্যু হয়।