গত দশকে পৃথিবী রেকর্ডতম উষ্ণতা পরিমাপ করা হয়েছে, আর ২০২০ সালে তার পরিমাণ আরও বাড়বে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, ২০২০ সালে উষ্ণতার পরিমাণ আরও বাড়বে এবং আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে।
বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইতোমধ্যে মারাত্মক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। বরফ গলছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও প্রতিকূল আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত সপ্তাহে যে তথ্য দিয়েছে তা সমর্থন করছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের তথ্যে জানায়, ২০১৬ সালের পরে ২০১৯ দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান পেটেরি তালাস এক বিবৃতিতে বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকমাস ধরে চলা দাবানল জলবায়ু পরিবর্তনকে ইঙ্গিত করে। দাবানলের তীব্রতা নজিরবিহীন এবং এটি ২৮ প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার থেকেও বড়।
তালাস বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলো, ২০২০ সাল ও পরবর্তী সময়ে আরও অনেক চরম আবহাওয়া-সংক্রান্ত ঘটনা ঘটতে পারে।
জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাটি জানিয়েছে, সর্বশেষ ৫ বছরে (২০১৫-২০১৯) বৈশ্বিক তাপমাত্রা সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ১৯৮০ দশকেও তাপমাত্রা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। আর দিন দিন তাপমাত্রার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছর জাতিসংঘ জানায়, ২০৩০ সালের যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে মানবসৃষ্ট গ্রীনহাউস গ্যাস প্রতিবছর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে হবে এবং বেশি গ্রীনহাউস ত্যাগ করা দেশগুলোকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে।
বুধবার তালাস জানান, ১৮৫০ সাল থেকে নতুন আধুনিক সভ্যতা যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো তারপর থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে এবং সামনের দিকে আরও বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।