উহান ভ্রমণে চীনের সতর্কতা
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের উহান শহরে ভ্রমণ ও শহরটি থেকে কাউকে বের না হতে নির্দেশনা দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান লি বিন এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, উহানে কেউ যাবেন না এবং উহানে যারা রয়েছেন তারা শহর ছেড়ে বের হবেন না। এছাড়া উহানের ৮.৯ মিলিয়ন জনগণকে ভিড় এড়ানো এবং জনসমাগম কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে নয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
চীনের উহান থেকে এই ভাইরাসটি উদ্ভূত হয়েছে এবং তা একাধিক চীনা প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার ফলে অনেক দেশের বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্কতা জারি করা বিমানবন্দরগুলোতে সকল চীনা নাগরকিদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
উহানের একটি স্থানীয় বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে চীন। এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত ৪৪০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, ভাইরাসটি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে তারা এখন সংকটপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে চীন নিশ্চিত করেছিলো যে, মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস যা ইতোমধ্যে ছোঁয়াচে আকার ধারণ করছে।
ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের উপমন্ত্রী লি বিন বলেছিলেন, তাদের কাছে এমন প্রমাণ রয়েছে যে এই রোগটি শ্বাসনালীর মাধ্যমে মূলত সংক্রামিত হয়েছিল। তবে চীন এখনও ভাইরাসটির সঠিক উত্স নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে এই ভাইরাসে উহানের হাসপাতালগুলোর ১৫ জন কর্মী রোগীদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছে।
চীনা নববর্ষের কারণে দেশটির প্রচুর নাগরিক বিদেশে ভ্রমণে যাচ্ছেন। এর ফলে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নিয়ে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই বৈঠকে ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি হবে কিনা তা পর্যালোচনা করা হবে।