যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহু প্রতীক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। ফিলিস্তিনিরা শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ট্রাম্প এই শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ট্রাম্প বলেন, শান্তির পথে ইসরায়েল বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার লক্ষ্য দুই দেশের জন্য সমান সমাধান হাজির করা।
ট্রাম্প আরও বলেন, ফিলিস্তিনিরা দারিদ্র্যতা ও সহিংসতার মধ্যে বাস করছে। যারা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ ছড়াতে চায় তাদের দাবার গুঁটির মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইসরায়েল একটি মানচিত্র প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে। শান্তি স্থাপনের জন্য নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল অনেক করেছে। মানচিত্রের বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে একটি যৌথ কমিটি গঠন করব।
ট্রাম্প দাবি করেন, ওই মানচিত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দ্বিগুণ হবে এবং পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেখানে দূতাবাস চালু করবে।
যদিও পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা চলমান বিরোধের সমাধান করা।
মঙ্গলবার এই শান্তিচুক্তির বিষয়ে গাজা উপত্যকায় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি প্রতিবাদ করেন। দখলকৃত পশ্চিমতীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।
পরিকল্পনাটি প্রকাশ উপলক্ষে সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও বিরোধী দলীয় নেতা বেনি গান্তজ। নেতানিয়াহু ওই দিন ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শতাব্দীর সেরা চুক্তি হলো।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, বুধবার প্রস্তাবটি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য মস্কো যাবেন নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইসরায়েল পক্ষ নিয়ে থাকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা দেন। এরপরই ফুঁসে ওঠে ফিলিস্তিনিরা। তারা ঘোষণা দেয়, ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনও শান্তি আলোচনায় মার্কিন মধ্যস্থতা মানবে না তারা।