মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্য প্রাচ্যের নতুন শান্তি পরিকল্পনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়। আমাদের সমস্ত অধিকার বিক্রয়ের এবং দর কষাকষির জন্য নয়। বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত হয়ে আমি কবরে যেতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসাবে জেরুজালেম ব্যতীত অন্য কোনো জায়গাকে আমরা মেনে নিত পারব না। ফিলিস্তিন, আরব, মুসলিম বা খ্রিস্টান সন্তানের পক্ষে এই প্রস্তাব মেনে নেওয়া অসম্ভব। আমরা হাজার বার বলছি, না, না, না। আমরা এই চুক্তিটি শুরু থেকে প্রত্যাখ্যান করে আসছি এবং আমাদের অবস্থান সঠিক ছিল।
শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশের সময় ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু চুক্তির বদলে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় থাপ্পড় বলে জানিয়েছেন আব্বাস। তিনি বলেন, আমরা থাপ্পড় দিয়েই আমরা এর সাড়া দেব। আর এই প্রস্তাব ইসরায়েলের নির্ধারিত নীতি অনুসারে হয়েছে।
গাজা উপত্যকাকে নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী দল হামাসও এই চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবনার পরেই গাজায় বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনিরা।
বিশ্বের দীর্ঘতম চলমান দ্বন্দ্ব সমাধানের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের নেতৃত্বে পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, তার এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের শেষ সুযোগ হতে পারে।
নতুন এই পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরের জনবসতিগুলোর ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া জেরুজালেম ইসরায়েলের অবিভক্ত রাজধানী ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের রাজধানী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বর্তমানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে চার লাখ ইহুদির বসতি স্থাপন করেছে। এছাড়া পূর্ব জেরুজালেমে আরও দুই লাখ ইহুদি বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এটি অবৈধ।
জাতিসংঘ থেকে জানানো হয়, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগে ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও গাজাকে দখল করার পরে সীমান্তের ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। কিন্তু তারা তা লঙ্ঘন করে নতুন করে বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে।