ইরানের বৃহত্তম পতাকা কারখানা দিবা পারচামে তৈরি হয় শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের পতাকা। এসব পতাকা শুধুমাত্র তৈরি করা হয় পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। ইরানের প্রতিবাদকারীদের জন্য এসব দেশের পতাকা তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।
ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে খোমেন শহরে কারখানাটির অবস্থান। যেখানে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দুই হাজার পতাকা তৈরি করা হয়। আর প্রতিবছর ১৫ লাখ স্কয়ার ফিট পতাকা তৈরি করা হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে কোনো বিক্ষোভ ও সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা নিয়মিত ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের পতাকা পুড়িয়ে দিয়ে থাকে।
পতাকা কোম্পানিটির মালিক গাসেম গাঞ্জানি জানান, আমেরিকান ও ব্রিটিশ জনগণদের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তাদের গভর্নরদের সঙ্গে আমাদের সমস্যা আছে। তাদের প্রেসিডেন্টদের ভুল নীতি নিয়ে আমাদের সমস্যা রয়েছে। আমেরিকা ও ইসরায়েলের জনগণ জানে, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ইরানিরা যদি বিভিন্ন সমাবেশে এসব দেশের পতাকা পুড়িয়ে দেয় তবে এটি কেবল তাদের প্রতিবাদ দেখানো হবে।
কারখানাটির গুণমানের নিয়ন্ত্রক রেজাই বলেন, জেনারেল সোলাইমানির হত্যার মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাপুরুষোচিত কর্মের তুলনায় আমেরিকান পতাকা পোড়ানো তাদের বিরুদ্ধে একটি নূন্যতম বিষয়।
ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনের কট্টরপন্থীরা সবসময় আমেরিকানবিরোধী মনোভাবে রয়েছে। ইরানের আলেম শাসকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রেট শয়তান হিসাবে উল্লেখ করে আসছে।
তবে গত বছরের নভেম্বরে অনেক ইরানি নাগরিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নামে। এ সময় তারা বলেন, আমাদের শত্রু আমেরিকা নয়, আমাদের শত্রু এখানেই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চলমান রয়েছে। আর মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা কাসিম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে এ উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ইরাকে মার্কিন প্লেন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে এই উত্তেজনা দশকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।