বিশ্বব্যাপী মার্কিন বাহিনী কর্তৃক ল্যান্ডমাইন বসানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ট্রাম্প প্রশাসন থেকে এ অনুমতি দেওয়া হয়।
অনুমতি দিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, মার্কিন বাহিনী এখন ব্যতিক্রমধর্মী পরিস্থিতিতে রয়েছে। যার ফলে আমরা ল্যান্ডমাইন ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছি। তবে নতুন প্রযুক্তি এই ব্যবস্থাকে নিরাপদ করে তুলছে।
এর আগে ২০১৪ সালে ওবামা প্রশাসন এ জাতীয় অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যতীত বিশ্বের প্রায় সর্বত্র এই অস্ত্রের প্রয়োগ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
ওবামার এই নীতি মার্কিন সেনাকে মারাত্মক অসুবিধায় ফেলতে পারে বলে জানানো হয় মার্কিন প্রশাসন থেকে।
প্রতিবছর এ অস্ত্রের ফলে হাজার হাজার মানুষ আহত ও নিহত হয়।
১৯৯৭ সালের বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশ ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করবে না এমন একটি চুক্তিতে সাক্ষর করে। কিন্তু ওই সময়ও চুক্তিতে সাক্ষর করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ল্যান্ডমাইনের অনুমতি দেওয়া সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার বলেন, এসব ল্যান্ডমাইন আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিযানের সাফল্য নিশ্চিত করতে ও নিজেদের ঝুঁকি এড়াতে ল্যান্ডমাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম যা আমাদের উপলব্ধ করা দরকার।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন অনেকে। ওয়াশিংটনের সিমিটসন সেন্টার থিঙ্ক ট্যাঙ্কের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ রাচেল স্টোহাল এই সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যাতীত বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১৬৪টি দেশে ল্যান্ডমাইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ল্যান্ডমাইন মনিটরের তথ্য মতে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ল্যান্ডমাইনে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মানুষ মারা গেছে। যার মধ্যে অর্ধেকেই শিশু।