ইরানের সঙ্গে শান্তি স্থাপিত হলে তা হবে সকল শান্তির জননী এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে তা হবে সকল যুদ্ধের জননী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রোববার (২২ জুলাই) এ কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভি জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইরানি দূতাবাস প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট।
এর মাধ্যমে তিনি ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাঈল বা অন্য কোন দেশের হামলা করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আগাম হুঁশিয়ার করে দেন।
রুহানি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধের হুমকি ঠিক বিপরীত প্রভাব ফেলবে (ইরানও হুমকি দেবে)।
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, মিস্টার ট্রাম্প, সিংহের লেজ নিয়ে খেলবেন না।
‘হুমকি ইরানি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং আমরা অবশ্যই আমেরিকাকে পুনরায় পরাজিত করবো’ বলেন রুহানি।
ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে করা ওবামা প্রশাসনের শান্তি চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেন।
ট্রাম্পের আস্থাভাজন নিরাপত্তা উপদেষ্ঠা জন বোল্টন একাধিকবার গণমাধ্যমের সামনে ইরানের বর্তমান ইসলামপন্থী সরকার পরিবর্তনের কথা বলেন।
এর পরপরই ইরানের নেতারা পাল্টা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে থাকেন।
মার্কিন প্রশাসন এর মধ্যে ইরানের তেল বাণিজ্য থেকে লভ্যাংশ শূন্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানা।
জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা শনিবার বলেন, ইরান আক্রান্ত হলে এবং ইরানের তেলের উপর অবরোধ আরোপ করা হলে এই অঞ্চলে আর কোন দেশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেল বিক্রি করতে পারবেনা।
রোববার (২২ জুলাই) রুহানী সেই উত্তপ্ত অবস্থায় সরাসরি যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থার ইঙ্গিত দিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও ইসরাঈলের অবস্থান ইরানী ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় বলে ইরানী জেনারেলগণ বক্তব্য দিয়ে থাকেন।