আসামে বন্ধ হচ্ছে মাদ্রাসা ও সংস্কৃত কেন্দ্র

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 09:14:52

ভারতের আসামে থাকা সমস্ত মাদ্রাসা ও সংস্কৃত কেন্দ্র বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আসামের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে এ তথ্য জানান।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা এনডিটিভিকে বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সমস্ত মাদ্রাসা ও সংস্কৃত কেন্দ্র বন্ধ করা হবে। এরপর এগুলোকে সাধারণ স্কুলে পরিণত হবে। শিশুদের ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ ও ভাষার শিক্ষা দেওয়া ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাজ নয়।

বিশ্বশর্মা আরও জানান, আসামে এখন প্রায় ১২০০ মাদ্রাসা ও ২০০ সংস্কৃত কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু এগুলো পরিচালনা জন্য স্বতন্ত্র কোনো বোর্ড নেই। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সমমানের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এতে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যার ফলে রাজ্য সরকার সব মাদ্রাসা ও সংস্কৃত কেন্দ্রকে নিয়মিত স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারি বাদেও আসামে আরও দুই হাজার বেসরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। যেগুলোকেও পরিচালনা করার জন্য কঠোর বিধিমালা আনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আসামের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা হওয়ায় এটি কোনো ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করতে পারে না। তবে বেসরকারি মাদ্রাসা ও সংস্কৃত কেন্দ্রগুলো কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে। কিন্তু তারা যেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চলে তা নিশ্চিত করতে আমরা দ্রুত একটি নতুন আইন করব।

বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে বাচ্চারা যাতে উপযুক্ত শিক্ষার হাতছাড়া না করে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব শিক্ষা কেন্দ্রে যারা পড়ালেখা করে তাদের বয়স ১৪ এর নিচে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে তাদের পিতামাতারাই সিদ্ধান্ত নেন। আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষায় অতিমাত্রায় থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হোক। আমরা মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কিছু বাধ্যতামূলক সাধারণ শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটি বিধি আনবো।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আসামে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মাদ্রাসা ও সংস্কৃত কেন্দ্র তুলে নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত করেছিল। এবার তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিকে মাদরাসা বন্ধে রাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে অনেকে। আসামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মুসলিম-বিদ্বেষী মানসিকতা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর