নিউজিল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে অস্বচ্ছ পানিতে প্রাকৃতিক ভাবে গরমে সিদ্ধ হয়ে মারা গেছে প্রায় পাঁচ লাখ ঝিনুক। আর এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছে সামুদ্রিক বিশেষজ্ঞরা।
মৃত ওসব ঝিনুককে নিউজিল্যান্ডের উত্তরের দ্বীপ মাউনগানুই ব্লাফ উপকূলে পাওয়া গেছে। আর অকল্যান্ডের বাসিন্দা ম্যান ব্র্যানডন'র চোখে এগুলো ধরা পড়ে।
ব্র্যানডন সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত ঝিনুকের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে ব্র্যানডন হাঁটু গেড়ে মন্তব্য করেন, তারা সবাই মারা গেছে ... কিছুই বাকি নেই।
এ ঘটনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বাস্তু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস বাটারসিহিল। তিনি বলেন, ঝিনুকের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবারই প্রথম নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বিপুল সংখ্যক টুয়াটুয়া ককলস ও ক্লামস (এক ধরনের ঝিনুক) মরে যেতে দেখেছি।
ভার্জিনিয়া এবং টেনেসির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ক্লিঞ্চ নদীর মিঠা পানিতে কীভাবে এত শামুকের মৃত্যু হল তা অনুসন্ধানে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা। শেগল, পলি এবং এমনকি ভারী ধাতবগুলোকে ফিল্টার করার দক্ষতার জন্য ঝিনুক নদীগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্রিস বাটারসিহিল ফরাসি সংবাদ মাধ্যম এএফপিকে জানান, অত্যধিক গরম ও স্থায়ী পানিতে অক্সিজেনের অভাবে শামুকগুলো মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখনকার অবস্থা অস্বাভাবিক। এই অবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। শামুক খুব ছোট প্রাণী। বাজারগুলোতে দেখবেন ওরা খুব কম পানিতেও বেঁচে থকে। তাহলে বুঝা যায় এই অস্বাভাবিক অবস্থা তাদের মেরে ফেলছে।
অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু জেফস জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আরও বেশি মরণ-সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের সংখ্যা কমে যাবে।
তিনি এএফপিকে জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে এসব শামুক প্রজাতি দক্ষিণের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা পানিতে চলে যাবে।