পূর্ব জেরুজালামে বসতি নির্মাণের ঘোষণা নেতানিয়াহুর

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-19 09:18:35

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পূর্ব জেরুজালামের নিকটে আরও ৩ হাজার বসতি স্থাপন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

আগেও এ অঞ্চলে বসতি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বাধার মুখে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে দেশটি।

সামনের নির্বাচনে নিজের সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় নেতানিয়াহু এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকদের। তবে তার এ ঘোষণার নিন্দা করেছে ফিলিস্তিনি সরকার। ফিলিস্তিনি সরকার থেকে জানানো হয়, তাদের এই ঘোষণা আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রত্যাশার ওপর আরেকটি আঘাত।

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' প্রকাশ করেন। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। এছাড়া পশ্চিম তীর ও জর্ডান ভ্যালিতে বসতি স্থাপনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। তবে ট্রাম্পের প্রস্তাবনাটি প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনি সরকার।

২০১৪ সালে দুই হাজার ৬১০টি বসতি স্থাপনের জন্য গিবাত হামাতোস ইহুদিদের অনুমতি দেয় জেরুজালাম পরিকল্পনা কমিটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পরিকল্পনার সমালোচনা করার পরেই ইসরায়েলি সরকার প্রকল্পটি আটকে রেখেছিল।

বৃহস্পতিবার জেরুজালেমের উপকণ্ঠে হার হোমাতে ইসরায়েলি বসতি পর্যবেক্ষণে যান নেতানিয়াহু। ওই সময়কার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নেতানিয়াহু জানান, আজকে আমি গিবাত হামাতোস ইহুদিদের জন্য তিন হাজার বাড়ির জন্য অনুমতি দিয়েছি। যার মধ্যে এক হাজার মার্কেট রয়েছে। আর এটির কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে।

এছাড়া বেইত সাফাফায় আরবদের জন্যও আরও একটি বসতি নির্মাণের কথাও বলেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, আরবদের জন্য এক হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। তবে সেখানে কবে নাগাদ থেকে বসতি নির্মাণের কাজ শুরু হবে তা জানাননি তিনি।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের সময় দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল দখল করে। তবে দখলকৃত অঞ্চলে ইসরাইলি নাগরিকদের জন্য বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। আর আন্তর্জাতিক এ সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রও সই করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থান পরিবর্তন করেছে তারা। এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এটিকে বৈধ বলে জানিয়ে আসছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর